যশোর ব্যুরো প্রধান: যশোরে ভারত থেকে ফেরত আসা তিনজনের নমুনায় ভারতীয় ধরনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের স্পাইক প্রোটিনের সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেন্টারটির সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই তিনজন যশোর ও নড়াইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছে।
এর আগে ৮ মে যশোরে আরো দুজনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে যশোরে মোট পাঁচজনের শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেল।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, গত ১২ মে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে দুজনের নমুনা ও ১৬ মে নড়াইল থেকে একজনের নমুনা পাঠানো হয়। নমুনা পজিটিভ হওয়ার পর ভারতফেরত যাত্রী হওয়ায় তাদের শরীরে থাকা করোনার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য স্পাইক প্রোটিনের সিকোয়েন্স করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় আজ তাদের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি ১.৬১৭.২-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট। এ ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে ৬০টি দেশে ছড়িয়েছে। ডাবল মিউট্যান্ট না হলেও এটি উদ্বেজনক।
তিনি বলেন, ‘এখন যারা ভারত থেকে আসছেন তারা ভারতীয় যে কোনো ভ্যারিয়েন্ট বহন করতে পারেন। সেজন্য আমরা নমুনা পজিটিভ হলেই ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এ ধরনের রোগীকে নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া ঠিক হবে না। এছাড়া দ্রুত আমাদের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তাহলে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কম থাকবে।’
এছাড়া মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা ও ভারত থেকে মানুষের যাতায়াত কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, তিন রোগীর শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন থাকার তথ্যের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহীন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে আইইডিসিআর,বি ব্রিফিং করবে।
এর আগে ৮ মে যশোরে আরো দুজনের শরীরে ভারতীয় ধরনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।