মাসুম প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে \ অথৈ পানিতে ভাসছে প্রতাপনগর! চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। দুঃখ, দূর্দশা যন্ত্রনাময় মানুষের আর্তনাদ চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী। চারিদিকে শুধু ই কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত বিষাক্ত জ্বলের জোয়ার ভাটার লোনাপানির স্রোত ধারা বয়ে চলেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ এখন পানি বন্দি। প্রতিটি মানুষের ঘর দুয়ারে পানি আর পানি। বাদ পড়িনি ধর্মীয় উপাসনালয়ে মসজিদ মন্দির, স্কুল মাদ্রাসা, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নেই পর্যাপ্ত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র। সাগর নদী আর প্রতাপনগর ইউনিয়নের জনপদ মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে। অস্বাভাবিক পানির তোড়ে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। বিগত বছরের আম্ফানের ক্ষত না কাটতেই দুটি মাস পার না হতেই উপকূলীয় এ অঞ্চলের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়া মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মানুষ তার দুর্বিষহ কষ্ট যন্ত্রনার কথা বলতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। খাওয়া পানি, রান্না খাওয়া, প্রাকৃতিক কাজ সবকিছুই শীমাহীন কষ্ট সহ্য করে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের প্লাবিত অবস্থার মানুষেরা। ২৬ মে ঘুর্নিঝড় ইয়াস যশ প্রভাবে উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়নের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের ৯ টি পয়েন্ট থেকে ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে জোয়ার ভাটা চলছে। বিগত বছরের ঘুর্নিঝড় আম্ফানসহ বিগত দিনের তুলনায় নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়েও প্রায় দুই তিন ফুট পানির উচ্চতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে লবণাক্ত পানির তীব্র স্রোতের কারণে অনেকের বসত ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া তীব্র স্রোতের কারণে প্রতাপনগর মাদার বাড়িয়ায় কবর ভেঙ্গে কবরের দুটি লাশ ভেসে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তৎপর সময়ে লাশ উদ্ধার করতঃ জোয়ারের পানি নেমে গেলে আবার নদীর চরে দাফন করা হয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর টেঁকসই বেড়িবাঁধের দাবি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের। এহেন পরিস্থিতি উত্তরণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় উপকূলীয় অঞ্চলের প্লাবিত মানুষেরা।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …