তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার টিকটক হৃদয়সহ দুজন পালাতে গেলে তাদের পায়ে গুলি করতে বাধ্য হয় দেশটির পুলিশ। বর্তমানে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এক নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন এবং সে ঘটনা রেকর্ড করার দায়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় হৃদয়সহ সাগর নামের আরেকজন পুলিশকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের পায়ে গুলি করে এবং পুনরায় আটক করে। গুলিবিদ্ধ হলেও তারা এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও হাকিল নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ।
এছাড়া আরো দুই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আসাম পুলিশের টুইটার থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ ও বেঙ্গালুরু পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে ঘটনার ভিক্টিম ও অভিযুক্ত অপরাধীরা সকলেই বাংলাদেশি।
এদিকে ভারতীয় পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই বাংলাদেশিদের সবাই অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। যে ভিডিওর ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, এক তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতন করা হচ্ছে। মূলত ওই তরুণীকে এই চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছিল। তবে এখনও তরুণীর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বাংলাদেশেও এ নিয়ে একটি মামলা চলছে। পুলিশের ধারণা কে চান্নাসান্দ্রা এলাকায়ই ওই ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অপরাধীদের। নিয়ে যাওয়ার পরই পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেন হৃদয় ও সাগর। এসময় রামামূর্তি নগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মেলভিন ফ্রান্সিস তাদের ওপর গুলি চালান। বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারা। পুলিশ ধারণা করছে, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী কর্ণাটকে নেই। তিনি পাশের কোনো রাজ্যে চলে গেছেন। তার সন্ধানে বিশেষ একটি অভিযানিক দল মাঠে নেমেছে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ। ঢাকায় হাতিরঝিল এলাকায় বাসা। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটির পরিবারও তাকে চিনতে পারে। পরে মেয়েটির বাবা হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কৌশলে হৃদয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে করে জানতে পারে, তিনি মাস তিনেক আগে ভারতে গেছেন। ঘটনাটি ঘটে ভারতে, ১৫-২০ দিন আগে।