ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের সময় গুলিবিদ্ধ হয় টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর।
টিকটক হৃদয় বাবু ও আলামিনসহ এই চক্রটি ভারতের বেঙ্গালুরুর কোর্টলোর এলাকায় থাকে। সেখানে ‘রাফি’ নামে একজনের আস্তানা রয়েছে। এই রাফির বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায়। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল মণ্ডল। রাফিকে আলামিনরা বস বলে সম্বোধন করে।
গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আলামিন তানিয়াকে নিয়ে অবৈধপথে বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। যাওয়ার আগে সে চাঁচড়া এলাকার ইয়াবা বিক্রেতা কামরুলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার ইয়াবা কিনে নিয়ে যায়।
‘অরিজিনাল মাল’ হিসেবে ইয়াবা আসক্ত ‘রাফিকে’ উপহার দেয়ার জন্য এ ইয়াবা সে বেঙ্গালুরু নিয়ে গেছে। নির্যাতনে জড়িত আলামিন ও তানিয়া গা-ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া ডালিম ও সবুজ নামে আরও দুই যুবক ছিল, তারাও পালিয়ে গেছে। তবে বেঙ্গালুরু পুলিশ তাদের খুঁজছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন বলেন, ভারতের তরুণী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা জেনেছি। তবে ওই ঘটনায় জড়িত একজনের বাড়ি যশোরে বলে শুনেছি। এলাকাবাসী ছবি দেখে শনাক্তের দাবি করছেন। আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নই। একইসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তাও আমাদের কিছু জানাননি।