পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমলাতন্ত্র সবসময়ই থাকবে। আমি পজিটিভলি বলছি, ফেরাউনও অত্যন্ত শক্তিশালী শাসক ছিল, যদিও ধর্মের কারণে মুসলমানরা তাকে দুষ্টু বলে থাকে। তিনিও আমলাতন্ত্রের বাইরে যেতে পারেনি, আমলাতন্ত্রের বিকল্প বের করতে পারেনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের আমলাতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমলাতন্ত্র মন্দ নয়, ভালো। কোনো দেশেই আমলাতন্ত্রের কোনো বিকল্প এখনো বের হয়নি। কেউ বের করতেও পারেনি। সোভিয়েতরা চেষ্টা করে বের করতে পারেনি। চীনারাও বের করতে পারেনি। এমনকি ফেরাউনও পারেনি। সেই আমলাতন্ত্র আমাদের মধ্যেও আছে।
এ সময় একনেকে অনুমোদন পাওয়া ‘বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের সংশোধনীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও এক সময় ছোটখাটো আমলা ছিলাম। মনেপ্রাণে এখনো বড় আমলা আছি। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কেটেছে আমলাতন্ত্রের ভেতরে। কাজেই আমলাতন্ত্রের এই প্রকল্প পাস হয়েছে আজকে।
তিনি আরও বলেন, যেই আমলাতন্ত্রের সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, ফেরাউন ও খলিফারাও বের করতে পারেনি সেই মহান আমলাতন্ত্রের জন্য সাভারে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এটির নাম বিপিএটিসি। এটাকে আধুনিকায়ন, সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হবে বলেও জানান এমএ মান্নান।
একনেক বৈঠকে আজ (মঙ্গলবার) ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। এ বিষয়ে এমএ মান্নান জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের ১-২ মাসের প্রশিক্ষণ না দিয়ে ১০ মাসের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।