শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে করোনার উপস্বর্গ নিয়ে রোকেয়া বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় নুতন আরো পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত পাশাপাশি মুমূর্ষু অবস্থায় একজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সংক্রমণের উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় বুধবার থেকে পুলিশ বাজারসহ উপজেলার প্রধান সড়কগুলোতে টহল জোরদার করেছে।
মৃত্যুবরণকারী নারীর পরিবার সুত্রে জানা যায় গত কয়েক দিন ধরে তিনি জ¦র ও সর্দি-কাশিসহ নানাবিধ সমস্যায় ভুগছিলেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে তার শাররীক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের পক্ষ থকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এসময় চিকিৎসকের পরামর্শে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে গাড়িতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামের আরশাদ আলী গাইনের স্ত্রী।
মৃতের ভাতিজা সোয়ালিয়া গ্রামের আবুল কালাম জানান রোকেয়া বেগমের স্বামী আরশাদ আলী গাইনও কয়েকদিন ধরে একই ধরনের অসুস্থতা বোধ করছেন। তবে বুধবার পর্যন্ত তার করোনা পরীক্ষা করোনা হয়নি।
এদিকে করোনার উপস্বর্গ নিয়ে বৃধবার সকালে শ্যামনগর হাসপাতালে নেয়া হলে আতাউর রহমান (৫৫) নামের একজনকে সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জ¦র সর্দি কাশি ও শ^াষকষ্টে ভুগতে থাকা ঐ ব্যক্তি উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ বিপ্লব কুমার দে জানান, বৃধবার সকালে মোট ২১ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করার পর পাঁচ জনের করোনা নিশ্চিত হয়েছে। আক্রান্তদের সকলে নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ।
উল্লেখ্য গত শনিবার থেকে সিভিল সার্জনের উদ্যোগে শ্যামনগরে র্যাপিড এন্টিজেন্ট পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৭৫ জনের নুমনা পরীক্ষার পর ১৭ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। এসময়ের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে উপস্বর্গে তিনজনসহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে দুই জনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে হলেও অন্যরা পঞ্চাশোর্ব্ধ বয়সী।
এদিকে ‘লকডাউন’ কার্যক্রম অমান্য করার জেরে ক্রমান্বয়ে শ্যামনগরে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি দেখ্ াদেয়াতে পুলিশ তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে টহল দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। এমনকি শনিবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যে ভ্যান, মটর সাইকেলসহ কিছু ছোট যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকলেও বুধবার থেকে তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে তৎপর হতে দেখা যায়।