সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোরঃ
সীমাহীন হতাশার সমুদ্রে ভেসে চলছে যশোোর অভয়নগর থানার ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়ন এর ইছামতী গ্রামের মৃত সতীশ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী গৌরী বিশ্বাস(৬৬)। সারা বিশ্ব যখন মহামারির কবলে, এক সন্তানের জননী গৌরী বিশ্বাস তার জীবন বাঁচানোর জন্য খাবারের খোজে।
নেই কোনো টয়লেট,নেই টিউবওয়েল, নেই ভালো পরিধেয় কাপড়, প্রতিবেশিরা আসেনা বাড়ীতে, খোজ নেয়না কোনো জন-প্রতিনিধি, টিনের একটি ছোট্ট খুপরি ঘরের বারান্দায় তার অবস্থান। এক ছেলেকে নিয়ে অন্যের বাড়ীতে কাজ করেই চলছে ১৫ বছর তার সুখের সংসার। তবে সংসার আর আজ সুখে নেই, সর্বনাশা করোনা কেড়ে নিয়েছে তার ইনকামের শেষ ভরসাকে। আজ আর কেউ ডাকে না তাকে কাজে। পনেরো (১৫) বছরের ছেলে ডোবা, মজা পুকুর, খাল বিভিন্ন জলাশয় থেকে মাছ ধরে বিক্রয় করে যা পায় তা দিয়ে চলতো সংসার। এখন আর বিলে পানি নাই তাই মাছও নাই। এখন খেয়ে না খেয়ে ভাঙ্গা ঘরেই চলছে তাদের সংসার।এখন শুরু হলো বৃষ্টি, ঘরের ফুটো চাল দিয়ে পানি পড়ে ভিজে বিছানায় নির্ঘুম রাত কাটে তার।
এমনই এক বাস্তব জীবনের গল্পের কথা জানালেন, গৌরী বিশ্বাস। খোজ নিয়ে জানা গেছে, একমাত্র ছেলে এক(১) বছরের সাধন বিশ্বাস কে রেখে মারা যায় পিতা সতীস বিশ্বাস। গৌরী বিশ্বাসের স্বামী মারা গেছে ১৫ বছর আগে সেই থেকে পরের বাড়ী কাজ করে চলে তার সংসার। স্বামীর রেখে যাওয়া ১৪ শতক জমির মধ্য আছে মাত্র ৩ শতক জমি। শরিকরা কিভাবে বাকি জমি কব্জা করে নিয়েছে? বলতে পারেননা গৌরী। বিধবা ভাতা’র কার্ড থাকলেও সমাজ সেবা অফিস নিয়ে নিয়েছে অনেক আগে। কিছুতেই বলতে পারেননা, কেন নিয়েছে তার কার্ড? ভাতা বন্ধ এখন। সামনে যেন অমাবস্যার অন্ধকার কিভাবে চলবে তার সংসার? গৌরী বিশ্বাস জানিয়েছেন, পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই, থাকার জায়গা এমন কি ঘরও নেই কিভাবে বেঁচে থাকবে সে?
সৃষ্টি কর্তার উপর অগাদ বিশ্বাস রেখে তিনি আরো জানিয়েছেন, ঠাকুরের কৃপায় যদি কোন হৃদয়বান কেউ এগিয়ে আসতো তবে একটু বেঁচে থাকতে পারতো সে। এলাকাবাসী এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে উপজেলা কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন করেছেন, যেন বিধবা গৌরী ও তার ছেলের বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন কর্তৃপক্ষ করে দেন।