সাতক্ষীরায় এক সপ্তাহ লকডাউন শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের লকডাউন আজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলাব্যপি এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। দ্বিতীয় মেয়াদের লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনাকাটার সময় এক ঘন্টা এগিয়ে সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়নে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা অব্যহত রেখেছে। রাস্তায় ছোট কিছূ যানবাহন ও সীমিত পরিসরে মানুষ চলাচল করছে। শহরের ছোট ছোট গলি রাস্তাগুলোর মুখ বাশ দিয়ে বন্ধ করা আছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, জেলায় এপর্যন্ত ২ হাজার ৩২৪ জন করোনা পরিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৪৭ জনের। জেলায় করোনা শনাক্তের প্রথম দিন থেকে ১১ জুন ২০২১ পর্যন্ত গড় শনাক্ত ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এরমধ্যে বর্তমানে ৬৮৩ জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া অন্যরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ৫১জন ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়েছে ২৪২জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮৮জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮জন করোনা পজিটিভ এসেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
জুন ২০২১ মাসের ১১ দিনে সাতক্ষীরা জেলায় ১৪২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭০৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। জুন ২০২১ মাসের ১১ দিনে শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত মে ২০২১ মাসে জেলায় ১৩৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত হয় ৩০৫ জনের। মে মাসে শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অর্থাৎ শনাক্তের প্রথম দিন থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। মে ২০২১ মাসে শনাক্তের হার বেড়ে হয় ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং জুন ২০২১ মাসে শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৫১শ।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার থাকা জেলাগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে।