দ্বিতীয় মেয়াদের লকডাউন সাতক্ষীরায় ঢিলেধালা ভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।
সাতক্ষীরায় এক সপ্তাহ লকডাউন শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের লকডাউন শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলাব্যপি এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। দ্বিতীয় মেয়াদের লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনাকাটার সময় এক ঘন্টা এগিয়ে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
জেলায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার লাগাম টানতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে, হাট বাজার গুলোতে ভিড় লক্ষণীয়। তারা যেন কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানতে চাচ্ছেন না। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এদিকে, ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ৭ দিন লকডাউনের প্রথম দিনে শহরতলীর কদমতলায় কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শনিবার শহরের সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের কদমতলা বাজারস্থ ৩ রাস্তার মোড়ে বাঁশ, চেয়ার, বেঞ্চ বসিয়ে ব্যারিকেড দেন। এসময় জনসচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা ও মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকা ও স্বাস্থাবিধি মেনে চলা, জনসমাগম না করা, মুখে মাস্ক পরিধান করা ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের না হওবার জন্য জনসাধারণকে আহবান জানান।
এদিকে শনিবার সাতক্ষীরা জেলায় আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে ভ্রাম্যমান আদালতে ১২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৭১টি মামলায় ৭৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমান আদায় করা হয়।