ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে নাসির উদ্দিনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে সাভার মডেল থানায় নাসিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নাসিরকে গ্রেফতার করা হলো।
জানা গেছে, গ্রেফতার নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)।
ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির একজন আবাসন ব্যবসায়ী। উত্তরা ক্লাবেরও সাবেক সভাপতি তিনি।
রোববার রাতে পরীমনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ তুললে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
প্রতিকার চেয়ে তিনি বনানী থানায় গিয়ে কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন। ফেসবুক পোস্টে বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন।
এরপর গতরাতে তিনি তার বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
নায়িকার অভিযোগ, গত বুধবার রাতে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও জিমির বন্ধু অমিসহ তারা উত্তরায় বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। ক্লাবটা তখন বন্ধ হয় হয়।
দুজন বয়স্ক ব্যক্তি এসে তাদের মদপানের আমন্ত্রণ জানায়, যাদের একজন নাসির মাহমুদ বলে পরীমনির ভাষ্য। তবে শরীর খারাপ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পরীমনি।
তিনি বলেন, জোরাজুরির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে কিছু লোক। এক পর্যায়ে নাসির মাহমুদ তার মুখে মদের বোতল ঠেসে ধরে গিলতে বাধ্য করেন। তখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ী তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ করেন পরীমনি।