সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নতুন করে আর কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হবে না। এর পরিবর্তে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য আরো ১০০ বেড স্থাপন করা হবে। রোববার সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ভার্চূয়াল সভায় অংশ গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা ১ ও ২ আসনের সাংসদ, মেডিকেল কলেজ এর প্রিন্সিপাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাব সভাপতি। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ভার্চূয়াল আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন শাফায়েত রাতে জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ধারণ ক্ষমতা আছে তার সাথে আরও এক’শ বেড প্রস্তুত করা হবে। এরপরও যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে মিটিংএ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃত করোনার রোগি সুস্থ্য করে ছাড়পত্র দেয়া পর্যন্ত উক্ত ওয়ার্ড চালু থাকবে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী চলে গেলে সদর হাসপাতালে শুধুমাত্র সাধারণ রোগীরাই চিকিৎসা গ্রহণ করবে। বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১৫০টি বেড রয়েছে।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত রোগির চাপে এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার রোগি ভর্তি না নেওয়ায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে গত সপ্তাহ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনার রোগি ভর্তি করা হয়। এরফলে পুরোপুরি প্রস্তুতি না থাকায় চিকিৎসাধীন রোগি ও রোগির স্বজনরা বাইরে আসায় এবং হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ানোর কারণে অতিরিক্ত করোনা সংক্রমণের আশংকা দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে একটি বে সরকারি টিভি চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি টেলিকাস্ট ও দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় “সব রোগি মিলে মিশে একাকার!’ শনিবার প্রধান শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হয়। এরপর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এক পর্যায়ে শনিবার রাতে জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনী ব্যবস্থার জন্য সিভিল সার্জন জেলা প্রশাসককে একটি পত্র প্রেরণ করেন। এরপর রোববার দুপুরে জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।