ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: বাংলাদেশের বহুল আলোচিত,সমালোচিত সাতক্ষীরার মেয়ে নায়িকা পরীমণি এখন জীবন সংকটে। প্রতিটা মৃহূর্ত এখন তার মৃত্যুর প্রহর গুণতে হচ্ছে। তবে তিনি আতœহত্যা করবেন না নাকি কেউ তাকে হত্যা করবে।
ভবপপ:
কেন তার জীবনে এমন হলো আমরা জানার চেষ্টা করবো।
২৪ অক্টোবর, ১৯৯২় সালে পরীমণি সাতক্ষীরা জেলায জন্মগ্রহণ করেন। জন্মকালে উনার নাম রাখা হয় শামসুন্নাহার স্মৃতি। ছোটবেলায় মা সালমা সুলতানাকে হারানোর পর পরীমণি বড় হয়েছেন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। এসএসসি পর্যন্ত বরিশালেই পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকেই তিনি তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেন। পরে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে বাংলা বিভাগে সন্মান শ্রেনীতে পড়া লেখা চলাকালিন সময়ে ২০১১ সালে ঢাকয়় চলে আসেন। কয়েকটি বিয়েও করেছেন পরিমণি।
মুক্তির আগেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়ে়ছিলেন পরী মনি। ছবি মুক্তির আগেই মিডিয়ায় নানা ধরনের খবরের জন্ম দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তিনি। শাহ আলম মন্ডল পরিচালিত ভালোবাসা সীমাহীন তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।
পরীমনি দেশের নামি-দামি অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। তিনি বরাবরই খোলামেলা থাকতে পছন্দ করেন। তাঁর পোশাক থেকে ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই খোলামেলা এবং স্পাইসি। দিন হোক কিংবা রাত্রি বিনোদনে কোনও খামতি রাখেন না। তাঁর এই খোলামেলা জীবনই এখন তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
অভিনেতা সাইমন সাদিকের সাথে তার প্রথম শট চলচ্চিত্র রানা প্লাজা মুক্তিপান। পরে সাইমন সাদিকের সাথে তার তৃতীয় বারে মত বিয়ে হয়।
সম্প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা পরিমনি।
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি পরীমনি এই দেশের একজন নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এরপর রাতেই রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেন পরিমনি। তার অভিযোগ নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিমনি বলেন, ‘একটা কাজে আমার পূর্ব পরিচিত অমি নামে একজনের অনুরোধে তার সঙ্গে আমি উত্তরায় নাসির উদ্দিনের কাছে যাই।
তিনি নিজেকে তখন উত্তরা বোট ক্লাবের সভাপতি বলে পরিচয় দিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার পর আমাকে মদ্যপান করতে বলা হয়। আমি সেটা না করলে এরপর আমাকে নির্যাতন করা হয়। ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। এমনকি হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন।
যে কারণে এখন তিনি জীবন সংকটাপন্ন।
বিতর্কিত এই নায়িকা অল্প সময়ের মধ্যে গ্রামের এক জন সাধারণ নারী থেকে কি ভাবে হয়ে উঠলেন। তার বাবা মনিরুল ইসলাম এক জন ব্যবসায়ি। ২০১২ সালে তিনি অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। তিন বছর বয়সে পরিমনি তার মাকে হারান।
পরে এক বিশাল কাহিনী। জানাবো অন্য এক পর্বে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন