অভয়নগরে নানা কারণে আটককৃত মটরসাইকেল ফেরত পেতে হয়রানির অভিযোগ!

অভয়নগর প্রতিনিধি :

যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনে প্রায় দুইশত পঞ্চাশ (২৫০) খানা মটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ওই সব মটরসাইকেল অভয়নগর থানা চত্বরে খোলা আকাশের নীচে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া নওয়াপাড়ায় কঠোর লকডাউনের মধ্যে যশোর যেয়ে মটরসাইকেল ফেরত পেতে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে মটরসাইকেল মালিকেরা অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, মটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট কাছে না থাকার দরুন গত কয়েক দিনের ঝটিকা অভিযানে ট্রাফিক পুলিশ প্রায় আড়াইশো মটরসাইকেল জব্দ করেছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সাঈদ আলম বাচ্চু অভিযোগ করে বলেন, তার মটর সাইকেল আটকের সময় পুলিশ তার সাথে খারাপ আচরন করেছে। তিনি বলেন, আমার মটর সাইকেলের কাগজপত্র অফিসে আছে। এ কথা বলার পরও আমার সাথে খারাপ আচরন করা হয়। আমার দামী মটরসাইকেল আটকিয়ে থানার খোলা জায়গায় রাখা হয়েছে। এতে করে রোদ-বৃষ্টি লেগে আমার মটর সাইকেলের ক্ষতি হচ্ছে। ধোপাদী গ্রামের কনক দত্ত বলেন “আমার মটর সাইকেল আটকের সময় আমি এক ঘন্টা পর কাগজ পত্র এনে দেখাতে চাইলেও দেখতে না চেয়ে মটর সাইকেলটি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অন ইচ্ছুক, একজন মটরসাইকেল মালিক জানান,আমার মটরসাইকেলটি গত বৃহস্পতিবার আটক করে থানায় রাখা হয়। তিন দিন পর আজ শনিবার যশোর ট্রাফিক পুলিশের অফিসে ৫ হাজার টাকা জমা দিলে গাড়ি ছাড়ার আদেশ পাই। টাকা গ্রহনের কোন রশিদ আমাকে দেওয়া হয়নি। পরে অভয়নগর থানায় আদেশের কপি জমাদিলে আমার গাড়িটি ফেরত পাই। এতে করে এক দিকে গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে আমার সময় ও অর্থের অপচয় হয়েছে। তার দাবি, গাড়িগুলো নওয়াপাড়া থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক।
যশোর ট্রাফিক সার্জন(পিআইও) শুভেন্দ্র কুমার জানান, জরিমানার টাকা ব্যংকে জমা হচ্ছে। ইচ্ছা করলে দন্ডদাতারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ গ্রহন করতে পারেন। আমরা ওনাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ রেখে দিচ্ছি। তিনি বলেন, দন্ডপ্রাপ্তদের সুবিধার জন্য নওয়াপাড়া এলাকায় টাকা জমা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবো।

অভিযান পরিচালনাকারী ট্রাফিক পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর কবির হোসেন জানান “উর্ধতন পুলিশ কতৃপক্ষের নির্দেশে কাগজপত্র দেখছি। যাদের নেমপ্লেটসহ কাগজপত্র নেই তাদের মটর সাইকেল জব্দ করে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং যাদের বৈধ কাগজ আছে কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট নাই তাদের মামলা দিয়ে মটর সাইকেল ছেড়ে দিচ্ছি। তবে তিনি খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।”

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।