ঢাকা বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর প্রথম দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার সুরে কথা বলেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই নায়িকা। পরবর্তীতে দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেফতারের পর পরীমনি পুলিশের ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে। পুলিশ, হারুন স্যার অনেকটা ম্যাজিকের সবকিছু করেছে। এতটা তাড়াতাড়ি পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করবে, সেটা আমি ভাবতে পারি নাই।
‘কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দেখলাম গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমি অভিযোগের ব্যাপারে সঠিক বিচার পাব। পুলিশের ওপর আমার আস্থা আছে।’
পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ভরসা উনিই ছিলেন। আমি সেই পর্যন্ত পৌঁছাইতে পারছিলাম না বলে এইসব কথা। সে (আইজিপি) যখন জেনেছেন কথাটা, বেনজীর স্যার যখন কথাটা জেনেছেন, যখন তার কান অবধি গেছে, তার কান অবধি আমি পৌঁছাইতে পেরেছি, তখন তো আপনার দেখলেন কয়েকঘণ্টা লাগল মাত্র। আমার মূল বিশ্বাসটা ওটাই ছিল। তার কান অবধি পৌঁছালে সে এটা একদম নিজের মতো করে দেখে নেবে।
বনানী থানায় মদ্যপ অবস্থায় গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছিল। সেই অবস্থায় আমি তখন বুঝতে পারছিলাম না, মদের সঙ্গে আর কি ছিল।আমি মরে যাচ্ছিলাম। আমি যে মরে যাচ্ছিলাম, এটা জানাইতেই থানায় গিয়েছিলাম। আমাকে হসপিটালে নিয়ে যান। আমি কিন্তু পুরোটাই তাদেরকে বলেছি। আমাকে মদ খাওয়ানো হয়েছে, আমি ঠিক নাই, আমি সুস্থ নাই। আমি একদমই ঠিক নাই। আমার সমস্যা হচ্ছে। আমার প্রবলেম হচ্ছে। এটা আমি তাদের বলেছি। আপনার শুনেননি। তিন দিন পরে এ কথা জিজ্ঞেস করলেন।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে পরীমনি বলেন, আপনার একেকটা গল্প বানানো প্রশ্ন বন্ধ করেন। আমাকে একটা সুস্থজীবন যাপনে সহায়তা করেন। আপনার যথেষ্ট হেল্প করেছেন এখন একটু হেল্প করেন। যাতে সুষ্ঠু বিচারটা হয়, আমি সেটার জন্য ওয়েট করছি। আমাকে নতুন করে কাজ করার সাহসটা আপনারা যোগান।