জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও গেমগুলো শিশু-কিশোরদের জন্য হয়ে উঠছে সন্ত্রাস, সহিংসতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আগে যেখানে স্কুলের পড়া শেষে শিক্ষার্থীরা একটি ভালো গল্পের বই খুঁজত, সংগীত কিংবা ছবি আঁকার ক্লাসে ঢুকত, দেয়াল পত্রিকা কিংবা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিত, সেখানে এখন শিক্ষার্থীরা স্কুলের ক্লাস ভুলে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে পাবজি, ফ্রি ফায়ার কিংবা গ্র্যান্ড থেফট অটো খেলায়। শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা হিংস্রতা ও যৌনতাযুক্ত এই খেলাগুলো নিষিদ্ধ করার পক্ষে অভিমত দেন, যা অনেক দেশে হচ্ছে। অনলাইনে ভালো কনটেন্ট, খেলা দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
জনপ্রিয় ডিজিটাল প্রতিটি গেমই ভয়ংকর সন্ত্রাস, সহিংসতা, যুদ্ধ আর মৃত্যুর গল্প। গেমগুলোতে যেমন সহিংসতা, তেমনি ভিডিও স্ট্রিমিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন টিকটক, বিগো লাইভে অশ্নীলতার ছড়াছড়ি। এই মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে বাড়ছে নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ আর অপরাধ কর্মকাণ্ড। একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, আসলে এই গেমগুলো অমানবিক, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী একটি আগামী প্রজন্ম তৈরির আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। বিশ্ব সমাজের প্রভাবশালী একটি অংশ নিজেদের সন্তানদের সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে রেখে তাদের নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি অনুগত প্রজন্ম তৈরি করছে। আর একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, আসলে বিশ্বে যে প্রভাবশালী দেশগুলো অস্ত্র বাণিজ্য আর সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার করে রেখেছে বছরের পর বছর, তারাই আসলে এসব গেমের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসকে সাধারণ বিষয় হিসেবে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। এই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভবিষ্যৎটা এমন হবে যখন চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ যন্ত্রণাকাতর মানুষ দেখে আর বিচলিত হবে না মানুষ।
এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এসব অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করেছে। অনেক দেশ নিয়ন্ত্রিত করেছে। বাংলাদেশেও পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো সন্ত্রাসের গেমগুলো বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গত সোমবার সমকালকে জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পেলে বিটিআরসি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা বা সুপারিশ বিটিআরসির কাছে আসেনি।
পাবজি-ফ্রি ফায়ার, শুধুই সন্ত্রাস :একশজনের একসঙ্গে খেলার দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানির ভিডিও গেম পাবজি। পরিত্যক্ত একটি দ্বীপে একশজন মানুষ থাকে। সেখানে প্যারাসুট দিয়ে নামে খেলোয়াড়। এরপর শুরু হয় টিকে থাকার যুদ্ধ। চারজনের গ্রুপ করেই এটি খেলা যায়। একজন কিংবা চারজন খেলোয়াড় মেতে ওঠে ওই একশজনকে হত্যার মহাআয়োজনে। এই খেলার মূল উপজীব্য হত্যা করে টিকে থাকতে হবে। ‘টু সারভাইভ, নিড টু মোর কিল’ এটাই হচ্ছে এই গেমের মূলমন্ত্র। হত্যার পর হত্যা করে টিকে থাকতে পারলেই খেলায় জয়ী হবে ব্যক্তি বা গ্রুপ। ফ্রি ফায়ারও অনেকটা পাবজির আদলেই তৈরি করা। ব্যক্তিগতভাবে কিংবা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হত্যা আর সন্ত্রাসই মূল উপজীব্য। বিশ্ব পরিসংখ্যানে এ দুটি গেমই সবচেয়ে বেশি খেলা হচ্ছে।
একাধিক সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীতে বর্তমানে প্রতিদিন ৮৭ কোটি মানুষ পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলছে। গুগল প্লে স্টোর ও আই স্টোর থেকে প্রতিদিন ডাউনলোড হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি। বাংলাদেশেও প্রতিদিন এক কোটির বেশি গেম খেলার পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে একাধিক অনলাইন সমীক্ষা থেকে। বিশ্বখ্যাত বাজার পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটার তথ্য অনুযায়ী, শুধু পাবজির বিশ্ববাজারের আকার বর্তমানে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সমীক্ষা অনুযায়ী যত মানুষ প্রতিদিন এই গেম খেলছে তার ৫৮ শতাংশই খেলছে স্মার্টফোনে। বাকিরা খেলছে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারে।
অন্যদিকে সন্ত্রাস-সহিংসতার গেম ফ্রি ফায়ারও পিছিয়ে নেই। ফ্রি ফায়ার প্রতিদিন খেলছে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। প্রতিদিন ডাউনলোড হচ্ছে আট কোটি গেম। ফ্রি ফায়ারের বাজারের আকার প্রায় ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুধু ফ্রি ফায়ার, পাবজি নয়, আরও পুরোনো সন্ত্রাসের গেম গ্র্যান্ড থেফট অটো বা জিএটিও দারুণ জনপ্রিয়তায় আছে বিশ্বজুড়ে। জিএটি সার্বিকভাবে হত্যা, চুরি, চোরাচালান, বিশ্বাসঘাতকতা শেখার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেন। এই গেমে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই একজন চোর, ডাকাত, ভাড়াটে খুনি কিংবা চোরাচালান দলের নেতা। গেমে যে যত বেশি দক্ষতার সঙ্গে এই অপরাধগুলো করতে পারবে সেই জয়ী হবে। সম্প্রতি জিএটি ফ্রি ফায়ার ও পাবজির সঙ্গে প্রতিযোগিতার দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। সে কারণে জিএটি এখন বিশ্বের জনপ্রিয়তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আরও ভয়ংকর সন্ত্রাসের গেম ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফেসবুকে গেমিং কর্নারে ক্লিক করলেই এখন ওপরে থাকে জিএটি। যেখানে একজন খেলোয়াড় কখনও একটি কংকাল, কখনও একটি সিংহ, কখনও বিষধর সাপ কিংবা কখনও ভয়ংকর দর্শন একজন মানুষ, যার কাজ একের পর হত্যা করে যাওয়া।
আগে জনপ্রিয় গেম ছিল নিড ফর স্পিড কিংবা রোড রাশ। যেখানে প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেল রেসিং চলত। এখন এসব গেম জনপ্রিয়তায় তলানির দিকে।
যতগুলো গেম অনলাইনে পাওয়া যায় তার মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তার গেম ‘মাইন ক্রাফট’। এই গেমে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে বাড়ি, স্থাপনাসহ চোখের সামনে দেখা অনেক কিছুই বানাতে পারে খেলোয়াড়। কিন্তু এই গেমটি জনপ্রিয়তায় ফ্রি ফায়ার, পাবজি, জিএটি থেকে অনেক পেছনে।
ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে অশ্নীলতা :লাইভ ব্রডকাস্ট করা যায় এমন কিছু অ্যাপ ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে আছে ইমো, বিগো লাইভ, লাইকি, টিকটক। অতি সম্প্রতি সিআইডির অভিযানে বিগো লাইভকে কেন্দ্র করে অবৈধ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত একটি গ্রুপ ধরা পড়েছে। যারা বিগো লাইভে অশ্নীলতার আড্ডার ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। বিশেষ করে আড্ডার জন্য ভার্চুয়াল টাকা ‘ডায়মন্ড’ কেনা-বেচার কাজ করে যাচ্ছিল। এই ডায়মন্ড কেনা-বেচার আড়ালে তারা অর্থ পাচারও করে যাচ্ছিল।
এর আগে টিকটকে নায়িকা হওয়ার প্রলোভনে ভারতে কয়েকশ নারী পাচারের তথ্যও প্রকাশ হয়েছে। টিকটককে আশ্রয় করে একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী ভারতে নারী পাচারের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। ভারতে বাংলাদেশের এক তরুণীকে পাচারকারীদের নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়ে পুরো একটি চক্রের সন্ধান পায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাবজি খেলার ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল মুদ্রায় খেলোয়াড়ের বাহারি পোশাক, বিভিন্ন রঙের অস্ত্রও কেনা সম্ভব। এই ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনার ক্ষেত্রেও অর্থ পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু বিগো নয়, টিকটক, লাইকি, ইমোকে ঘিরেও এই অশ্নীল ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের রমরমা বাণিজ্য। সুস্থ কারও পক্ষে এসব অ্যাপ ব্যবহার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে অশ্নীলতার দাপটে। ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো মাধ্যম বিশ্বব্যাপী কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড, অশ্নীলতা, পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে ব্যবস্থা, গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা উন্নত করলেও লাইকি, টিকটক, বিগো লাইভ, ইমোর মতো অ্যাপে এ ধরনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে এসব অ্যাপ অশ্নীলতা আর প্রতারণার ফাঁদ হয়ে উঠছে। ইমো অতি সম্প্রতি নিজেদের অ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণের কথা বললেও বাস্তবে ইমোর লাইভ স্ট্রিমিং ও গ্রুপগুলোর বেশিরভাগই অশ্নীলতানির্ভর দেখা গেছে।
কেন অনলাইন দুনিয়ায় সহিংসতা-অশ্নীলতা :প্রশ্ন উঠছে, কেন অনলাইন দুনিয়া সন্ত্রাস, সহিংসতা আর অশ্নীলতানির্ভর হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলছে নানামুখী গবেষণা।
অস্ট্রেলিয়ার দিয়াকিন ইউনিভার্সিটির দু’জন গবেষক ড. হেলেন ইয়ং এবং জিওফ বাউচার সম্প্রতি ‘নরমালাইজিং কনসপিরেসি থিওরি :ভিডিও গেমস, ভায়োলেন্স অ্যান্ড দ্য ফার-রাইটস’ নিবন্ধে লিখেছেন, সন্ত্রাসনির্ভর ভিডিও গেমগুলো আসলে ‘সন্ত্রাস-সহিংসতার সাধারণীকরণের ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে মানুষের ভেতরে অপরাধপ্রবণতাকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। হত্যা, খুনকে স্বাভাবিক হিসেবে ভাবতে শেখানো হচ্ছে তরুণদের। তাদের গবেষণার মূল বক্তব্য হচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ব্যবসা অস্ত্রের, মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অধ্যায় যুদ্ধের। আর বর্তমানের অনলাইন দুনিয়ার ভিডিও গেমগুলোতেও সেই সহিংসতা, রক্তপাত, হত্যা, মৃত্যু। কারণ সহিংসতার গেমগুলোই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। যারা এসব গেম তৈরি করছে তারা নিজেদের সন্তানদের এসব থেকে দূরে রাখছে। তাদের লক্ষ্য তাদের নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি বোধহীন অনুগত আগামী প্রজন্ম তৈরি করা।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব মানিনজের চার গবেষক জুলিয়ান এম ভনডার হেইডেন, বিটি বরুন, কাই ডব্লিউ মিলার এবং বরিস ইগলফ তাদের ‘দি অ্যাসোসিয়েশন বিটুইন ভিডিও গেমস অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ফাংশনিং’ গবেষণাপত্রে বলেছেন, আসলে ভিডিও গেম নির্মাতাদের মূল লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তি তৈরি করা। এ জন্যই গেম নির্মাণে এমন সব গল্প এবং উপাদান বাছাই করা হচ্ছে যেগুলো এক ধরনের মোহ বা আসক্তি তৈরি করতে পারে সহজেই। বাস্তবে বিশ্বের কোটি কোটি কিশোর-তরুণ এখন ভিডিও গেমে আসক্ত। এই আসক্তি তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এখনই বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংস ভিডিও গেম নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের মতোই একটি বড় সংকটে পরিণত হবে।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক সমকালকে বলেন, আসলে এ ধরনের ভিডিও গেমগুলো এক ধরনের ডিজিটাল ড্রাগ। কভিড-১৯ মহামারির সময়ে অনলাইনে ক্লাসের কারণে শিক্ষার্থীদের হাতে ডিভাইস চলে গেছে। তারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্লাসের পরে তারা আসলে কী করছে সেটিও অধিকাংশ অভিভাবক খেয়াল করছেন না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের গেমসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। সন্তানদের অনলাইন দুনিয়ায় মানবিক ও সুস্থ বিনোদনের উপায়গুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তাদের বই পড়াতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। মাঠে গিয়ে খেলার ব্যবস্থা করতে হবে। বাচ্চারা খেলার মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। তাদের ভালো খেলার মধ্যে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম প্রতিবেশী ভারত ও নেপালে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশই এই গেমগুলো নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের সন্ত্রাসনির্ভর গেম এখনই নিষিদ্ধ করা জরুরি। অনলাইনে যে মাধ্যম অশ্নীলতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে সেগুলোও বন্ধ করা উচিত।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, অনলাইন গেমগুলো আরও ভালো হতে পারে। মানবিক বিষয় ও উপাদান নিয়ে গেম তৈরি হতে পারে। প্রয়োজনে নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে এ ধরনের গেম তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনলাইনের কোনো প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি বন্ধ করা সহজ নয়। একটা বন্ধ করতে গেলে আরও অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। অতএব অনলাইনে ভালো কনটেন্ট, গেম দিয়েই খারাপগুলোর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
![](https://crimebarta.com/wp-content/uploads/2021/06/IMG_20210616_073049-660x330.jpg)