সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে কোভিড-১৯ রোগীদের সুচিকিৎসার স্বার্থে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত এ চিঠি ইতোমধ্যে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানায়, করোনার চিকিৎসা করছেন মেডিসিনের চিকিৎসকরা। গাইনি, চক্ষু, দন্ত, অর্থপেডিক্সসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের এক্ষেত্রে কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া মেডিকেলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা সকল বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
সেক্ষেত্রে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সম্পূর্ণ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হলে ছাত্র শিক্ষক চিকিৎসক সকলেই বিড়ম্বনায় পড়বেন। বিশেষ করে ছাত্ররা এ সময় অন্য কোন বিষয়ে শিখতে পারবেন না। করোনা চিকিৎসায় সাথে সংশ্লিষ্ঠ নন এমন চিকিৎসকদেরও কোন কাজ থাকবে না। তাছাড়া প্রতিদিন করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা মেডিকেলের একজন শিক্ষক দৈনিক পত্রদূতকে জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেহ হাসপাতালের ৮তলা ভবনের দুটি বা তিনটি ফ্লোর করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে নিদিষ্ঠ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এক বা একাধিক ভবনেও করা যেতে পারে। তার বাইরে কিছু করা হলে উপকারের চেয়ে অপকারই হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরাসহ দেশের সীমান্ত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না। এমন অবস্থায় সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে করোনা রোগী ভর্তি শুরু হয়। এরফলে সেখানে সাধারণের চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হলে জনগনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে জেলা করোনা কমিটির বিশেষ সভায় সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা করা হবে বলে স্দ্ধিান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের পৃথক ফ্লোরে ১৬৫টি বেড নিদিষ্ট করা রয়েছে। এ সংখ্যা ২০০ পর্যন্ত করা যাবে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।