নরেন্দ্র মোদির সর্বদলীয় বৈঠকের আগেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারতীয় রাজনীতিতে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের ১৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর আগে পিডিপির প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দোহায় গিয়ে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। তা হলে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে কেন্দ্র। তবে মুফতির এ দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির সভাপতি রাজেন্দ্র রায়না।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। গুলিবর্ষণ এবং আলোচনা একসঙ্গে এক টেবিলে হতে পারে না। পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তি তৈরি করতে ক্রমাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান কাশ্মীরে রক্তপাতের মূল কারণ। তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই উঠে না।
এদিকে শুধু বিজেপি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মুফতিকে সমর্থন না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ।
এদিন মোদির সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওটা (পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা) তার (মেহবুবা মুফতি) এজেন্ডা। আমার না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমার এজেন্ডা বলব।’
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠক ঘিরে ইতোমধ্যে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপির একাংশ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সমিতি।
জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মোদি।
বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করা, ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা এবং রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখার বিষয়ে আলোচনা হবে।