ক্রাইমবাতা রিপোট: চলমান লকডাউনের মধ্যে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনের হার কমলেও বাড়ছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চার নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই জন ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে, জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৭০ জন। আর ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্ততঃ ৩৪০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৫০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
যা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৪৮৫ জন। এছাড়া বর্তমানে জেলায় ৮১৬ জন করোনা আক্রান্ত রুগী রয়েছেন। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত রুগী ও ২৬০ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বেসরকারী হাসপাতালে ১৭ জন আক্রান্ত রুগী ও ১৩৭ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ৭৭৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, চতুর্থদফা লকডাউনের ২৭ তম দিনেও চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। কাল থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং কড়াকড়ি লকডাউন হবে এমন খবরে আজ বাজার সওদা করতে বাড়ির বাইরে চলে এসছেন বহু মানুষ। তারা মাস্ক ব্যবহার ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানছেন না। অধিকাংশ মানুষ সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে কেনা কাটা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের খুবই অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট গুলোতে চলছে চুরি করেই বেচাকেনা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেডও মানছে না কেউই। যদিও পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে, লকডাউনে সবথেকে বেশী বিপাকে পড়েছেন মোটর চালিত ভ্যান, ইজিবাক ও রিক্সা চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। পুলিশ তাদের যানবাহন গুলো আটক করে রেখে দেয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত এ সময় সকলকে মাস্ক পরার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।