সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে একযোগে মাঠে রয়েছে আইনশৃখংলা বাহিনীর সদস্যরা। জেলার সাতটি উপজেলায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করে দোকান খোলা রাখায় ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল কোর্টের ৪৫টি মামলায় ১৯ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৭৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ টি পজেটিভ এসেছে। যার শতকরা হার ৩৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গতকাল উপসর্গ নিয়ে মারা যায় পাঁচ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তে মৃত রোগীর সংখ্যা ৭৫ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩৬৩ জন।
করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮০। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন করোনা আক্রান্ত ও ২৪৩ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ১৬জন করোনা আক্রান্ত ও ১৬০ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৮৪৩ জন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সূত্র জানান, জেলায় সেনাবাহিনীর ১০ টি পেট্রোল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত উপজেলায় সাতটি পেট্রোল টিম ও রিজার্ভ রাখা হয়েছে আরো তিনটি পেট্রোল টিম। এছাড়া জেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্য নামানো হয়েছে। জেলায় একজন করে ম্যাজিস্টে’র নেতৃত্বে ২২টি ভ্রাম্যমান আদালত টহল দিচ্ছে। সূত্র আরো জানান, জেলাবাসীকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঘর থেকে বাইরে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অকারণে বের হলেই তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে সামেক হাসপাতালে গত ৩০ জুন অক্সিজেন বিপর্যয়ে সাত জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ সংক্রান্ত তিন সদস্যের কমিটি রোববার আরো সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। এ ছাড়া খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা শনিবার খুলনা মেডিকেল সাবডিপোর সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী ও মোংলা পোর্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেনকে দিয়ে দু’ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করেছেন। ওই কমিটির সদস্যরা আজ রোবাবর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আসবেন।