স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সোমবার রাতে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
মন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় ওই বৈঠকে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী ও সংগঠনের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর একান্ত সহকারী শফিউল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সারা দেশে গ্রেফতার সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ শেষে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে হেফাজত আমির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে সমন্বিত নীতিমালা তৈরির উদ্যোগের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সোমবার রাত ৮ টা ৩৭ মিনিটে মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় প্রবেশ করেন তিনি। রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে বের বের হয়ে যান তারা। তবে বের হওয়ার পরে সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি হেফাজত নেতারা।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছান জুনায়েদ বাবুনগরী। খিলগাঁওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় তিনি বিশ্রাম নেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর সরকার হেফাজতে ইসলামের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।
এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
এরপর সংগঠনটির অন্তত কয়েক ডজন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এর আগে একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গ্রেফতার বন্ধ এবং গ্রেফতার নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।