আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম কুরবানি

ওবায়েদ ইবনে গনি

তাকওয়ার সাধারণ মর্মার্থ হবে আল্লাহর ভয় ও মহব্বত। আল্লাহর জন্য, আল্লাহর আদেশ পালন ও সমাজে বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত হতে পারলেই জীবন হবে প্রকৃত ইসলামী জীবন। এমন জীবন লাভের অনুশীলনীর নাম কুরবানি। আমরা কুরবানি সম্পূর্ণ আল্লাহর ওয়াস্তে হচ্ছে কি-নাÑ মনের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি। কুরবানির জন্য মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমেই দেখা দরকার এ বছর কুরবানি ওয়াজিব হচ্ছে কি-না। ওয়াজিব বলতে ঈদের দিন, ঈদের পরের দিন এবং তার পরের দিন; অর্থাৎ ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ আমাদের মালিকানায় নিসাব পরিমাণ মাল থাকবে কি-না। আমরা ওই তিন দিন নিজ বাড়িতে অবস্থান করব কি-না। যার মালিকানায় সাড়ে ৭ তোলা সোনা বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বা অর্থ থাকবে, তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। কুরবানিদাতা জীবনভরের সিদ্ধান্ত ও অঙ্গীকার হিসেবে উচ্চারণ করেনÑ ‘ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’; ‘নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার বেঁচে থাকা ও আমার মৃত্যুবরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত।’ (সূরা আন’আম : ১৬২)।
আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আহকাম পরিপালনের মাধ্যমে, অর্থাৎ বায়তুল্লাহ শরীফে হজ সম্পন্নের পর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানির মাধ্যমে পালিত হয় ঈদুল আজহা। আর এ পবিত্র ঈদ আমাদের পূর্বপুরুষদের কীর্তিকে স্মরণ করে নয়, বরং নিজেদের আঞ্জাম দেয়া সৎকর্মের ওপর ভিত্তি করে পালিত হয়। আরবি কুরবুন মূল ধাতু থেকে কুরবানি শব্দের উদ্ভব। যার অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, নৈকট্য অর্জন করা। মুসলমানরা পশু কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করেন। এ মর্মে নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, ‘কুরবানির দিন পশুর রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে অন্য কোনো আমল আল্লাহর কাছে প্রিয় নয়। কিয়ামতের ময়দানে কুরবানির পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। আর পশুর রক্ত মাটি স্পর্শ করার আগে আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা খুশি মনে কুরবানি কর।’ (বায়হাকী)। নামাজের মতো কুরবানিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরবানি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য সালাত কায়েম কর এবং কুরবানি কর।’ (সূরা কাওসার : ২)। নামাজের দ্বারা বান্দার বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ পায়। হজ ও কুরবানির মাধ্যমে প্রকাশ পায় আল্লাহর প্রতি বান্দার প্রেম ও ভালোবাসা। পশু কুরবানি ভালোবাসারই নাজরানা। পশু একটি প্রতিকৃতি মাত্র। তার মূলে রয়েছে আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্রেরণা। সত্যিকার প্রেমিক নিজের জীবনকেও আল্লাহর জন্য কুরবান করে দিতে প্রস্তুত।
মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকে আল্লাহ প্রদত্ত সব শরিয়তেই কুরবানির মহান বিধান কার্যকর হয়ে আসছে। মানব ইতিহাসের প্রথম কুরবানি আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিলের কুরবানি। তাদের বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ কুরবানির সূচনা হয়। তখন আদম (আ.)-এর একটি ছেলে একটি মেয়ে করে যমজ সন্তানের জন্ম হতো এবং এক জোড়ার ভাই অপর জোড়ার বোনকে বিয়ে করতে পারত। ঘটনাক্রমে হাবিলের ভাগে পড়ল তুলনামূলক সুন্দরী আর কাবিলের ভাগে পড়ল একটু কম সুন্দরী। কাবিল তাকে বিয়ে না করে হাবিলের ভাগের সুন্দরীকে বিয়ে করতে চাইল। তখন মীমাংসার জন্য তাদের কুরবানি করতে বলা হয়Ñ যার কুরবানি কবুল হবে, সে সুন্দরীকে বিয়ে করতে পারবে। তখন যার কুরবানি কবুল হতো, তৎক্ষণাৎ আকাশ থেকে আগুন এসে কুরবানির বস্তুটি জ্বালিয়ে দিত। হাবিল ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পশু পালন করত। সে একটি উৎকৃষ্ট দুম্বা কুরবানি করল। কাবিল কৃষি কাজ করত। সে কিছু শস্য, গম ইত্যাদি কুরবানির জন্য উপস্থাপন করল। তখন হাবিলের কুরবানি কবুল হলো এবং কাবিলের কুরবানি যেমন ছিল, তেমনি পড়ে রইল অর্থাৎ কবুল হলো না। এ অকৃতকার্যতায় কাবিলের দুঃখ ও ক্ষোভ বেড়ে গেল। তাই সে হাবিলকে হত্যা করে ফেলল। কিন্তু আমরা যে কুরবানি করছি, তা পরবর্তী সময়ে ইবরাহীম (আ.) কর্তৃক ইসমাইল (আ.)-কে কুরবানি করার ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে শুরু হয়েছে। আমরা ইবরাহীম (আ.)-এর মিল্লাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহর নবী ইবরাহীম (আ.) স্বপ্নযোগে প্রিয় সন্তান জবাই করার নির্দেশ পেয়ে কোনোরূপ বাহানা বা তাবিলের আশ্রয় নেননি। স্বপ্ন বলে বিষয়টিকে উড়িয়েও দেননি। পুত্র কুরবানির রহস্যও আল্লাহর কাছে জানতে চাননি। প্রশ্ন করেননি, ‘হে প্রভু! তুমি আমাকে এত কঠিন নির্দেশ কেন দিলে? তোমার এ নির্দেশের মর্ম কী?’ বালক ইসমাইলকে জবাইয়ের কথা বলা হলে তিনিও প্রশ্ন করেননি, ‘আব্বু! কেন আমাকে জবাইয়ের নির্দেশ পেলে? আমি কী অন্যায় করেছি?’ তিনি বরং সরলকণ্ঠে জবাব দিলেন, ‘আব্বাজান, আপনাকে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা পূর্ণ করুন। ইনশাআল্লাহ, আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ (সূরা সাফফাত : ১০২)। কুরবানির প্রবর্তক হজরত ইবরাহীম ও ইসমাইল (আ.) এমনটিই করে দেখিয়েছেন। সেই কুরবানি এখন আমরা পালন করছি।
আল্লাহর কঠিন নির্দেশের সামনে পিতা-পুত্রের আনুগত্যের কথা পবিত্র কুরআনে এভাবে ব্যক্ত হয়েছে, ‘ফালাম্মা আসলামা’ পিতা-পুত্র উভয়ে যখন মুসলমান হলো। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশের সামনে ঝুঁকে পড়ল। ইসলামে এ শব্দের অর্থ আল্লাহর বিধানের সামনে নিজেকে সঁপে দেয়া। আয়াতে ‘আসলামা’ শব্দ দ্বারা সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। মিনার প্রান্তরে উপুড় করে শুইয়ে দেন হৃদয়ের মানিক, কলিজার টুকরা পুত্রকে। হাতে ধারালো ছুরি। চক্ষু বন্ধ করে পুত্রের গলায় চুরি চালান, ফিনকি দিয়ে বের হয় রক্ত। অবিশ্বাস্য! অকল্পনীয়! নিজের একমাত্র সন্তানকে নিজ হাতে জবাই! ধরাতে এ-ও কি সম্ভব! হ্যাঁ, এ অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহীম (আ.)। আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য তিনি এর চেয়েও বড় কিছু করতে প্রস্তুত। কারণ হৃদয়ে তার আল্লাহর ভালোবাসাই প্রবল। জীবনের পরতে পরতে যিনি পরীক্ষার পাহাড় ডিঙিয়েছেন, পাড়ি দিয়েছেন বিপদাপদের সাগর-মহাসাগর, তার জন্য এটিও ছিল একটি খোদায়ী পরীক্ষা। এ পরীক্ষায়ও তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন সফলতার সঙ্গে। আল্লাহর নির্দেশ পালন করতে পেরে হৃদয় তার আহ্লাদিত। পরম আনন্দে চোখের বাঁধন খোলেন। কিন্তু এ-কী! ইসমাইল (আ.) যে অদূরে বসে মিটমিট করে হাসছে। আর তার স্থলে পড়ে আছে একটি জবাইকৃত দুম্বা। কুদরতের এ তামাশা দেখে ইবরাহীম (আ.) অবাক হলেন। তার অন্তরে উঁকি দিলÑ তাহলে কি আমার কুরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়নি? তখনই অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো, ‘হে ইবরাহীম! তুমি তোমার স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।’ (সাফফাত : ১০৪-১০৫)।
আল্লাহর নির্দেশ পালনের যে দৃষ্টান্ত এঁকেছেন হজরত ইবরাহীম ও ইসমাইল (আ.), তাই কুরবানির দর্শন। মহান প্রতিপালকের যে কোনো বিধানের সামনে নিঃশর্ত আনুগত্য কুরবানির শিক্ষা। পশুর রক্ত, গোশত আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না। তিনি বান্দার আনুগত্য ও নিষ্ঠা পরীক্ষা করেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘কুরবানির পশুর গোশত ও রক্ত আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না। তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া।’ (সূরা হজ : ৩৭)। আমরা যে পশু কুরবানি করি, তা ইবরাহীম ও ইসমাইল (আ.)-এর সীমাহীন আনুগত্যের অনুকরণ মাত্র। আল্লাহ তায়ালা তাদের আনুগত্যকে এতটাই পছন্দ করেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত আগত মুসলমানদের জন্য তাদের অনুকরণ আবশ্যক করে দিয়েছেন। আল্লাহপাক বলেন, ‘আমি অনাগত মুসলমানদের তাঁর অনুসরণ বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি।’ (সূরা সাফফাত : ১০৮)। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কুরবানির প্রথা কোথা থেকে এসেছে? তিনি বললেন, ‘এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর আদর্শ।’ আবার জিজ্ঞেস করা হলো, এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে? তিনি বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি নেকি লেখা হবে।’ (বায়হাকী)।
প্রতি বছর ঈদুল আজহা এবং কুরবানি এসে আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে যায়, আমরা তা সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারলে সারা বছর ইসলামের ওপর অটল-অবিচল থাকা সহজ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে জানলাম, আমরা যে কুরবানি করে থাকি, তা মুসলিম মিল্লাতের পিতা আল্লাহর নবী ইবরাহীম (আ.) কর্তৃক তার শিশুপুত্র নবী ইসমাইল (আ.)-কে কুরবানি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবর্তিত হয়েছে। এ কুরবানির উদ্দেশ্য নিছক পশু জবাই আর গোশত খাওয়া নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয়তম বস্তুকে আল্লাহর পথে সমর্পণ করা। আল্লাহ তায়ালার যেকোনো হুকুম যেকোনো সময় মাথা পেতে নেয়া হচ্ছে কুরবানির শিক্ষা। হজরত ইবরাহীম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) এ দৃষ্টান্তই রেখে গেছেন। তাই আল্লাহ তায়ালার যেকোনো আদেশ-নিষেধ আমাদের খুশি মনে মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আপত্তি তোলার সুযোগ নেই। আল্লাহ তায়ালা মহাজ্ঞানী। তাঁর জ্ঞানের কাছে আমাদের জ্ঞান বিশাল বালুকণাময় প্রান্তরে ক্ষুদ্র এক বালুকণার মতোও নয়। তাই ইসলামের কোনো বিধান আমাদের সীমিত জ্ঞানে বুঝে না এলেও তা অবনতচিত্তে মেনে নিতে হবে। মহান আল্লাহ কুরবানি ও জীবনদানের প্রেরণা ও চেতনা সারা জীবনে জাগ্রত রাখার জন্য রাসূল (সা.)-কে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘বল! আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবকিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমাকে তাঁরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমি সবার আগে তাঁর অনুগত ও নির্দেশ পালনকারী।’ (সূরা আনআম : ১৬২-১৬৩)।
আত্মত্যাগের উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে কুরবানি। আর এ কুরবানির মাধ্যমে আমরা ইসলামের একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পরিপালন কারে থাকি। হজরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) প্রিয় নবীজি (সা.)-এর রেখে যাওয়া ইসলামকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য নিজেদের মাতৃভূমি ও প্রিয়জনদের মায়া ত্যাগ করে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। তাই তো তাদের কবর পৃথিবীর এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের এ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমাদের কাছে ইসলামের আওয়াজ পৌঁছেছে। সেজন্যই আমরা মুসলমান। প্রিয় নবীজির রেখে যাওয়া এ ইসলামের নাম-নিশানা পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তিগুলো মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারা ইসলামকে নির্মূল করে মুসলমানদের ওপর তাদের মনগড়া নিয়মনীতি চাপিয়ে দিতে চায়। তাদের হাত থেকে নবীজি (সা.)-এর রেখে যাওয়া ইসলামকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ইসলামের মূল স্তম্ভ নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মাধ্যমে বান্দা যেমন নতশিরে আল্লাহ প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে থাকেন, তেমনি কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দার প্রেম ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়। পশু কুরবানি সেই ভালোবাসারই নাজরানা। পশু একটি প্রতিকৃতি মাত্র। তার মূলে রয়েছে আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্রেরণা। সত্যিকার প্রেমিক নিজের জীবনকেও আল্লাহর জন্য কুরবান করে দিতে প্রস্তুত। ‘এলাকার সেরা কুরবানি আমার’Ñ এমন দুনিয়াবি অহংকারী মনোভাব আল্লাহর জন্য নিবেদিত কুরবানিতে মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। কোনো নাম-যশ-খ্যাতি লাভের জন্য নয়; লোকলজ্জার ভয়ে নয়; সমাজ রক্ষার জন্য নয়; কুরবানি হবে শুধুই আল্লাহর জন্য। আল্লাহ তায়াল আমাদের খালেস নিয়তে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কুরবানির করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক : সাংবাদিক।

Check Also

সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।