নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ১৭ জুলাই পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৬৮ জন। পাশাপাশি করোনায় মারা গেছেন ৮১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পাইকাড়া গ্রামের মৃত আমিন পাড়ের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৭০), একই উপজেলার মহৎপুর গ্রামের মৃত অধর আচায্যের ছেলে তারক আচয্য (৬৫), পাটকেলঘাটা থানার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের আনিছউদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৮), পাটকেলঘাটা গ্রামের মৃত মঈন উদ্দীনের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৭০), আশাশুনি উপজেলা সদরের আবু তালেবের মেয়ে শম্পা (১৮), সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার মৃত অব্দুল গণির স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগম (৭০), দেবহাটা উপজেলার কোড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোড়লের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (৬৫), শ্যামনগর সদর গ্রামের হুমায়ন কবিরের স্ত্রী রুমানা খাতুন (৫০), তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামেরতাপস পালের স্ত্রী রাখি পাল (৩১) ও একই উপজেলার আবমপাড়া গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে রজব আলী (৭০)।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত আত্তাপ আলীর ছেলে মোঃ রেজাউল ইসলাম (৭২)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ৮ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন এসব ব্যক্তি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সামেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ও জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, এ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৯২৬ জন। জেলায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৬১৪ জন। বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৬ জন। এদের মধ্যে সামেক হাসপাতালে ২৯ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭ জন ভর্তি আছেন।
হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ১৯৫ জন। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩১২ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৭৭ জন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৭ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮১ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৬৮ জন।