সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগী কমতে শুরু করেছে। বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও রোগী কমেছে। পবীত্র ঈদ-উল আযহা ও জেলার সংক্রমন পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় রোগী কমছে বলে মেডিকেল কলেজ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত ১ জুলাই সামেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ২৬ জন ও উপসর্গের ২৪৮ জনসহ মোট রোগী ভর্তি ছিল ২৭৪ জন। এদিন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী ছিল আক্রান্ত ১৭ জনসহ ১৩৫ জন। এছাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ৭৭৭ জনসহ মোট করোনা শনাক্তকৃত রোগী ছিল ৮২০ জন।
এক সপ্তাহ পর ৮ জুলাই সামেক হাসপাতালে আক্রান্ত ২১ জনসহ মোট রোগী ভর্তি ছিল ২৮৫ জন। এদিন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী ছিল আক্রান্ত ১২ জনসহ ১৩২ জন। এছাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ১০০৯ জনসহ মোট করোনা শনাক্তকৃত রোগী ছিল ১০৪২ জন।
পরবর্তী এক সপ্তাহ পর ১৫ জুলাই সামেক হাসপাতালে আক্রান্ত ১৯ জনসহ মোট রোগী ভর্তি ছিল ২৬৯ জন। এদিন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী ছিল আক্রান্ত ৯ জনসহ ১১৮ জন। এছাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ১১৫০ জনসহ মোট করোনা শনাক্তকৃত রোগী ছিল ১১৮৭ জন।
অপরদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টার সময় সামেক হাসপাতালে ১৭ জন করোনা পজিটিভসহ মোট রোগী ভর্তি ছিল ২১২ জন। আজ বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৫ জন করোনা পজিটিভসহ মোট রোগী ছিল ৬৪ জন। এছাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ১২৪১ জনসহ মোট করোনা শনাক্তকৃত রোগী ছিল ১২৭৩ জন।
এ ব্যাপারে সামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ও করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসক ডা. মানষ কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ কম ঝুকিপূর্ণ রোগীরা ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এছাড়াও জেলায় সংক্রমন পরিস্থিতিও কিছুটা কমে এসেছে। এসব কারনে হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনা সংক্রান্ত ফোকাল পারসন ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালেও রোগীর চাপ কমেছে। তিনি আরো বলেন গত জুন মাসে জেলায় শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ অতিক্রম করে। সেখানে জুলাই মাসে শনাক্তের হার ১৭ থেকে ৩৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। ঈদ এবং জেলার সংক্রমনের হার কমে আসায় রোগীর চাপ কমেছে বলে তিনি জানান।