আফগানিস্তানে সংঘাত চলাকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পুলিৎজার জয়ী ফটোসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিল তালেবান। তবে ঘটনায় নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছিল সংগঠনটি।
দানিশ সিদ্দিকীর মৃত্যুর ব্যাপারে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, সাংবাদিকদের উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আগে জানিয়ে ঢোকা। দানিশ সিদ্দিকীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
তবে তালেবানের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে আফগান এক সেনা কমান্ডার বিলাল আহমেদ জানান, দানিশকে কেবল গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি তালেবান। গুলি করার পর গাড়ির চাকায় তার মাথাও থেঁতলে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে এ কথা জানান বিলাল।
বিলাল আহমেদ নিহত সাংবাদিক দানিশের হত্যার মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন।
তিনি জানান, আফগানিস্তানের কান্দাহরের স্পিন বোল্দাকে সেনা ও তালেবানের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গত বৃহস্পতিবার নিহত হন দানিশ। সে সময়ে পেশাগত কাজে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখার সঙ্গে ঘুরছিলেন তিনি। ওই আফগান বাহিনীর কমান্ডার বিলাল। গত পাঁচ বছর আফগান সেনাবাহিনীতে রয়েছেন বিলাল।
ইন্ডিয়া টুডের কাছে বিলাল দানিশের শেষ মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে বলেন, একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল দানিশের শরীর। গুলিতেই তার মৃত্যু হয় বলে কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের দেওয়া দানিশের ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা আছে।
তবে বিলাল জানান, পরিচয়পত্র থেকে দানিশ ভারতীয় জানতে পেরেই তার দেহটি বিকৃত করে দেওয়ার নির্দেশ আসে। দানিশের মাথার উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। তার আগেই অবশ্য মৃত্যু হয়েছিল তার।
ভারত এবং ভারতীয়দের প্রতি বিশেষ ঘৃণা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিলাল।
দানিশ হত্যার দায় স্বীকার না করলেও রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে দানিশের মৃতদেহ তালেবানই হস্তান্তর করেছিল।