সাতক্ষীরার আশাশুনির কাপসন্ডা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী মন্দিরের তালা ভেঙ্গে কৃষ্ণ ও নারায়ণ ঠাকুরের দুটি মূর্তি চুরি হওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরা সহকারি পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এস এম জামিল আহমেদ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
রোববার সকাল ১১টায় কাপসন্ডা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন, মামুন হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি মন্দিরের সভাপতি সাংবাদিক কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী ও সাধারণ সম্পাদক মেধস ব্যানার্জীসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনেন ও মন্দিরের চারিপাশে বাড়িওয়ালাদের খোঁজ খবর নেন।
পরে সহকারী পুলিশ সুপার এস এম জামিল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মন্দির থেকে মূর্তি চুরি হওয়ার ঘটনায় আমরা দুঃক্ষিত। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত চোরদেরকে চিহ্নিত ও দুটি মূর্তি উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দক্ষ অফিসাররা এখান মাঠে কাজ করছে অতিদ্রুত এর মোটিভ উন্মোচন হবে। এর আগে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম কবির, পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও এস আই জুয়েল রানা, এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন পৃথক পৃথকভাবে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য গত ৮জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধ্যায় মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ দেওয়ার সময় পুরোহিত করুণা কান্ত ব্যানার্জী ও তার পতœী শিশু কন্যা ঋতু ব্যানার্জী দেখতে পায় মন্দিরের তালা ভাঙ্গা এবং বিভিন্ন মূর্তি মধ্যে কৃষ্ণ ও নারায়ণ ঠাকুরের দুটি মূর্তি নেই। পরে অনেক খোঁজাখোজির পর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মূর্তি দুইটির মধ্যে একটি কষ্টি পাথরের ও অন্যটি পিতলের। যার আনুমানিক মুল্য লক্ষাধিক টাকা। এঘটনায় মন্দিরের সভাপতি সাংবাদিক কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী বাদি হয়ে গত ১২জুলাই আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২। তবে এঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।