সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:
যশোরের অভয়নগর উপজেলাধীন ভৈরব উত্তর-পূর্ব জনপদের পাট চাষীদের সোনালী স্বপ্নের যাত্রা শুরু হলো শ্রাবণের শেষভাগে।
এ বছর পাট চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ফোয়ারা। চারিদিকে পাট পঁচা গন্ধে মেতে উঠেছে কৃষি-পল্লী। শ্রাবণের শুরুতে কাটা পাট পঁচেছে প্রায় একমাস ধরে।
এখন চলছে পাট বাছাইয়ের কাজ, চলবে ভাদ্রের শেষ পর্যন্ত। ফলনও ফলেছে বেশ, উপযুক্ত দাম পেলে লাভবান হবে চাষী এমন স্বপ্নই দেখছে তারা।
অভয়নগর উপজেলাধীন জয়খোলা গ্রামের পাট চাষী বলরাম মল্লিক বলেন, এবার পাটের ফলন বিগত কয়েক বছরের চেয়ে ভাল। যদি উপযুক্ত দাম পাই তাহলে লাভবান হতে পারবো। প্রায় বিঘা দুই জমিতে পাট করেছি, সেখানে পাট প্রায় ৩৫ মনের বেশি হবে। আর খরচের হিসেব করে লাভই থাকবে।
বিভিন্ন পদ্ধতিতে চলছে পাট বাছাইয়ের কাজ। পুরুষ-মহিলা সবাই একসাথে করছেন এই পাট বাছাইয়ের কাজ।পানিতে নেমে বাছাই করছে পুরুষের দল আর ডাঙায় মহিলাদের দল। কেউ টাকায়, কেউ আবার পাটকাঠির বিনিময়ে করছেন এই কাজ। বেকারত্ব কমেছে কিছুটা, এই কাজে যারা পারদর্শী তাদের উপযুক্ত মূল্য দিয়েই নিতে হচ্ছে এই কাজে।
অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পাথালিয়া গ্রামের পাট চাষী বেলায়েত হোসেন বলেন, তার পাটের আঁশ এবার অন্য বছরের তুলনায় বেশ মোটা এবং বিগত বছরগুলো অপেক্ষা এবার ফলন ভালো। আবহাওয়া পক্ষে থাকলে গুণগত মানে কোনো প্রকার ঘাটতি হবে না। উপযুক্ত দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।
সোনালী আঁশের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। ঠিকমত রোদ পেলে শুকিয়ে নিতে পারবে পাট। স্বপ্ন পূরণ হবে পাট-চাষীদের।