সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় আমদানি পন্যবাহী ৮ টি ট্রাক আটকে পড়েছে। এসব পন্যের আমদানিকারকদের কাছে মোটা অংকের আমদানি শুল্ক বকেয়া পড়ে থাকায় তাদের লাইসেন্স ও কার্যক্রম সীলড করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব গাড়িতে রয়েছে খেজুর টমেটো আনারসহ বিভিন্ন ধরনের ফল।
ভোমরা কাষ্টমসের সহকারি কমিশনার আমির মাহমুদ বলেন ২৫ টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেনাপোল কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বকেয়া শুল্ক হিসেবে ১০ কোটি টাকা পায়। তিন বছর ধরে এই টাকা বকেয়া থাকলেও আমদানিকারকরা তা পরিশোধ করছেন না।
এ কারণে বেনাপোল কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ ২৫ টি লাইসেন্স ও তাদের কার্যক্রম সীলড করে রেখেছে। তিনি বলেন পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা আটকে থাকবে। তিনি আরও জানান, এসব পন্য নষ্ট হবার আগেই নিষ্পত্তি না হলে আইন অনুযায়ী নিলামে বিক্রয় করা হতে পারে।
যেসব আমদানিকারকদের কার্যক্রম সীলড করা হয়েছে সেগুলি হলো বিকে ট্রেডার্স, খান এন্টারপ্রাইজ, জাহান ট্রেডিং, মাসুম এন্টারপ্রাইজ, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ, প্রমি এন্টারপ্রাইজ, রাহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, এ্যানি এন্টারপ্রাইজ, দাসবেদাস এন্টারপ্রাইজ, ফরিদা এন্টারপ্রাইজ, কেপি এন্টারপ্রাইজ, এনপি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচকে ট্রেডার্স, উষা ট্রেডিং, কে হাসান ট্রেডিং, সিদ্ধার্থ এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফল ভেন্ডর, করবো এন্টারপ্রাইজ, আরআর ব্রাদার্স, রিফাত এন্টারপ্রাইজ, সোনালী ট্রেড, উড এ্যাপেল, আরতি ইনটেক্স, এ আর ট্রেডার্স ও পারভেজ ট্রেডিং।
এদিকে আমদানিকারকদের অনেকের কাছে কোন টাকা বকেয়া নেই বলে তারা দাবি করেছেন। তা সত্ত্বেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন বন্দর দিয়ে এসব আমদানিকারক তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবেন না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।