সব্যসাচী বিশ্বাস(অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ৮ নং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের নাউলী গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে তৈরী হল কফিসপ। কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজ…….’। গানের লাইনটি বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে আছে। তাই তো আবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে ফিরছে কফি হাউজের আড্ডাটা।
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ১২ জন তরুণ শুরু করলেন কফি শপ। লকডাউনের কারণে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আর এসময়ে পড়ালেখাও তেমন না থাকায়, ১২ জন বন্ধু মিলে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে বানিয়েছে “পাঁচ তারকা মানের কফি হাউজ”
অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী গ্রামে রবি টাওয়ারের দ্বিতীয় তালায় বানানো হয়েছে অভিনব এই কফি হাউজটি।
জানা গিয়েছে, অভিনব এই কফি হাউজটিতে ১২ জন কর্মী রয়েছে আর এরাই কফি হাউজটির শেয়ার হোল্ডার।
কফি হাউজের পরিচালক রাহাত রহমান জানান,আমরা ১২ জন বন্ধু মিলে উদ্যোগ নেই গ্রামে আমরা একটা আধুনিক মানের কফি হাউজ বানাবো। যেহেতু পড়ালেখা সেরকম নেই, ভার্সিটিও বন্ধ কোভিট-১৯ কারনে আর গ্রামে ভালো কোনো কফি হাউজও নেই সেখান থেকে মূলত কফি হাউজটি করা।
তিনি আরও জানান, কফি হাউজে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং কফির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করছি। এখানে মেয়েদের বসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আমরা যারা এখানে শেয়ারে আছি, সালাম মোল্লা, জিলানী মোল্লা, ইব্রাহিম শেখ,রিফাত মল্লিক, সালেহীন, টি এম রিফাত, অপি, সাজ্জাদ, ইসমাঈল, নাঈম,আব্দুল্লাহ সবাই স্টুডেন্ট কয়েকজন ভার্সিটিতে পড়ে, দু-এক জন অ্যাডমিশন দেবে এবছর ।
কথা হয় কফি হাউজের শেয়ার মালিক, জিলানী মোল্লার সাথে, তিনি জানা প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমাদের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেবা প্রদান করি।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আবার ফিরছে, শুধু মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মান্নাদে’র সেই বিখ্যাত গানের ভাষায়,তাই তো আগেও কতজনই এসেছে আবার কতজনই আসবে, কফি হাউজ কিন্তু থেকেই যাবে। তবু নস্ট্যালজিয়া ফিরছে টেবিলে কফির কড়া গন্ধ নিয়ে। এতেই খুশি বাঙালী,বাংলা ।