আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গভর্নর বন্দি!

তিনি আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গভর্নরদের মধ্যে একজন। তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।  সেই সালিমা মাজারিকে বন্দি করলো তালেবানরা।  তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি।  আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানদের হাতে চলে যাবার পর  দেশের প্রেসিডেন্ট সহ অনেক আফগান রাজনৈতিক নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন , কিন্তু সালিমা মাজারি নিজের এলাকার নিরাপত্তার ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। বালখ প্রদেশের চাহার কিন্ট এলাকা  তালেবানদের হাতে চলে যাবার আগ পর্যন্ত তিনি যুদ্ধস্থল ছেড়ে পালিয়ে যাননি। ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুসারে, আফগানিস্তানের  সমগ্র জাতির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের  পর তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন  সালিমা মাজারি। কয়েক বছর আগে সালিমা মাজারি আফগানিস্তানের প্রথম তিনজন মহিলা গভর্নরের একজন হয়েছিলেন। যদিও আফগানিস্তানের অনেক প্রদেশ বিনা লড়াইয়ে ভেঙে পড়েছিল। সালিমা বালখ প্রদেশের চাহার কিন্টকে অক্ষত রাখার জন্য সব চেষ্টা করেছিলেন। চাহার কিন্ট জেলা, যার নেত্রী  হিসেবে সলিমা মাজারি, তালেবানদের বিরুদ্ধে একটি বড় লড়াই শুরু করেছিলেন।

তার ময়দান না ছেড়ে যাবার মানসিকতা , হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাবার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা বিশ্ব।  আফগানিস্তানের চূড়ান্ত পতনের আগ পর্যন্ত চাহার কিন্ট ছিল একমাত্র মহিলা নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল যেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থাবা বসাতে পারেনি।  দ্য গার্ডিয়ানের মতে, সালিমা মাজারির শাসনকালে গত  বছর ১০০ তালেবান যোদ্ধা আত্মসমর্পণ  করেছিল।  গত কয়েক বছর ধরে, আফগানিস্তানে একজন ক্ষমতাশালী  নেত্রী হিসেবে সলিমা মাজারি অনেক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।  আফগানিস্তানে শেষ তালেবান হামলার আগে দ্য গার্ডিয়ান- কে সাক্ষাৎকার দেবার সময়ে দেশের জনগণের নিরাপত্তা  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রতিবাদী নেত্রী সালিমা মাজারি

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।