সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দন্ত চিকিৎসক নামে আছেন , কিন্তু তার সেবা পায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দাঁতের রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দাঁতের চিকিৎসার জন্য এক জন সহকারীই ভরসা।২৪ আগষ্ট ২০২১ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত বিভাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষে ঢোকার একপাশে বসে রোগী দেখছেন সহকারী (টেকনোলজিস্ট) রুহুল কুদ্দুস ।
এ সহকারী (টেকনোলজিস্ট) দন্ত বিভাগের এক পাশে বসে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল ইউনিটে রোগী দেখার উপযোগী সকল সরঞ্জাম রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় যন্ত্রপাতিগুলো অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হতে চলেছে। ডেন্টাল ইউনিটের সকল যন্ত্রপাতি সাদা চাদরে মোড়া। এ সহকারী (টেকনোলজিস্ট) দিনে ১৫-২০জন রোগী দেখেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে এই বিভাগে সার্জন হিসেবে যোগ দেন ডা. সাবিহা তানজিম। তিনি কিছুদিন থেকে ডেপুটেশনে (প্রেষণে) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চলে যান। সহকারী রুহুল কুদ্দুস বলেন, এখানে সার্জন হিসেবে ছিলেন ডা.সাবিহা তানজিম। কিন্ত তিনি ডেপুটেশনে যশোরে চলে যান। মাঝে মধ্যে এসে রোগী দেখে আবার যশোরে চলে যান। রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, যন্ত্রপাতি প্রায় সবই আছে। চিকিৎসক নিয়মিত না আসায় ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতে এগুলোকে ঢেকে রাখা হয়েছে। আমি নিয়মিত ১৫-২০ জন রোগী দেখি।
দাঁতের চিকিৎসার উদ্দেশ্য নিয়ে আসা উপজেলার বাগদা গ্রামের গোলাম রসুল বলেন, ‘দাঁতের গোড়া ফুলেছে। তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কিন্তু দাঁতের কোনো ডাক্তার পাইনি। একজন সহকারী ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে।’ দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসেন রহিম মোড়ল। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগছি, কিন্তু হাসপাতালে কোনো দাঁতের ডাক্তার নেই। ভাবছি যশোরে কিংবা খুলনায় যাব।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আলীমুর রাজিব বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ডেন্টাল সার্জন খুবই প্রয়োজন। দীর্ঘদিন না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুর রহমান রিজভী বলেন, তিনি যশোর সিভিল সার্জনের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।