রুহুল কুদ্দুস: আশাশুনি: আশাশুনির কাপসন্ডা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী মন্দিরের দুটি মূর্তি চুরি হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধহাটা থেকে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত নারীর নাম মনিকা দেবনাথ (৪৫)। সে মৃত রনজিৎ দেবনাথের স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা।
বুধবার বিকালে বুধহাটা দুর্গা মন্দিরের পাশে বাবার বাড়ির এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর থানাতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের পর একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কাপসন্ডা সার্বজনীন মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক মেধস ব্যানার্জি জানান, বাবু ঢালি নামে এক কবিরাজ মনিকা দেবনাথের বাড়িতে যায়। অসুস্থ্য ভাই ব্রজেন দেবনাথকে চিকিৎসা করতে।
এ সময় মনিকা নিজেই একটি কৃষ্ণমূর্তি ও নারায়নের মূর্তি চার হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন বলে কবিরাজকে জানায় এবং ঘর থেকে পিতলের কৃষ্ণমূর্তি এবং পাথরের নারায়নের মূর্তি টি দেখানো হয়। তিনি বাড়ি এসে বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানালে মন্দির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পুলিশ দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার বিকালে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম কবিরের নির্দেশে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন এবং এসআই মামুনের নেতৃত্বে মনিকার বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে থানায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাপসন্ডা সার্বজনীন মন্দির থেকে হারিয়ে যাওয়া দুটি মূর্তির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মনিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেটি স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা। বাপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় সে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে কারা মূর্তি চুরির সাথে জড়িত সেটি খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।