আসাদুজ্জামান সরদার: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি বলেন, বিএনপি-জামাত চেয়েছিল এ দেশটাকে তালেবান বানাতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছেন। আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পুর্ণ।
তাইতো পদ্মা সেতু মেট্রো রেলের মতো প্রকল্প দৃশ্যমান। মোট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চলা শুরু হয়েছে। সেজন্য সকল নেতাকর্মীদের এক থাকতে হবে যাতে আওয়ামী লীগের উপর আর কেউ হামলা চালাতে না পারে।
শনিবার (২৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতের স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ কে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি আরও বলেন, আগষ্ট জাতির শোকের মাস।
এই মাসে খন্দকার মোস্তাক ও তার হায়না বাহিনী পরিকল্পিতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারকে হত্যা করে। তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত নয়। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যেশ্যে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু কোন ভাবেই তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দামাতে পারেনি।
শোক সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম বলেন, আজ আর স্বপ্ন নয় এখন সবই সত্যি। পদ্মা সেতু থেকে মেট্রোরেল প্রকল্প এখন বাস্তবচিত্র প্রদর্শিত। শোকের মাস আমাদের শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কেউ আমাদের আর দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বের মাঝে মাথা উচু দাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস. এম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম নান্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশতাক আলী, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন প্রমুখ।
শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, শেখ সাহিদ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মুনসুর আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক এড. অনিত কুমার মুখার্জী, উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, নির্বাহী সদস্য এস.এম শওকত হোসেন, নাজমুন নাহার মুন্নি, এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, ইসমত আরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাছেরুল হক, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি এড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ প্রমুখ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র ও দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশীদ।