বেতনা নদীর হাজিখালি বিলের খালের মুখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি; বরং জলকপাটটি স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পানিনিষ্কাশন না হওয়ায় সদর উপজেলার বেতনা নদীর তীরের গ্রামগুলো ডুবে রয়েছে পানিতে। গত জুলাই মাসের তিন দিনের অতিবৃষ্টিতে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে প্রায় এক মাস। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী বলেন, ভালুকাচাঁদপুর, কোমরপুর, জাহানাবাদ, ধুলিহর, ফয়জুল্লাহপুর, দরবস্তিয়া, বাগুইগাছা, বড়দল, গোবিন্দপুর ও চ্যালারডাঙ্গা গ্রামের পানিনিষ্কাশনের জন্য ওই এলাকায় একটি জলকপাট ছিল। সেটি নষ্ট হয়ে গেলে পরে আরেকটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভুল পরিকল্পনার কারণে জলকপাট দিয়ে এক ফোঁটাও পানিনিষ্কাশন হয় না।