জুলহাস-তনয় হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৬ জনের ফাঁসি, ২ জনকে খালাস

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু লোকনাট্য দলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি ও ২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আলোচিত এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। সাব্বিরুল হক চৌধুরী, মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ এই দুই জন খালাস পেয়েছেন। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।


এর আগে গত ২৩শে আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য ৩১শে আগস্ট দিন ধার্য করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা মামলার অপর ৪ আসামির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথাও জবানবন্দিতে বলেছেন।

এছাড়া সাক্ষ্য-প্রমাণে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে, আসামি মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৮ জন জুলহাস ও তনয় হত্যায় জড়িত। আমরা মঙ্গলবারের রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেছেন, মামলায় হত্যার দায় স্বীকার করে ৪ আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কোনো আসামিকে সাজা দেয়া যায় না। আমরা আসামিদের খালাস প্রত্যাশা করছি।
২০১৬ সালের ২৫শে এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১২ই মে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম

Check Also

তালায় ইউপি পরিষদ কক্ষে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

তালা প্রতিনিধি তালার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী রমজান আলী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।