আসমানের মায়াবী নয়নে দেখি কাজল রেখা
সে নয়ন গহিনে হারিয় গভীর অরণ্য
অরণ্য মাঝে কৃষ্ণকায় জলরাশি
তারি মাঝে হাজারো পদ্মপরাগ
হাজারো পদ্মপুষ্পের মাঝে একটি রক্তিম শাপলা গলা উঁচু করে অদৃশ্য হস্ত ইশারায় ডাকছে যেনো কারে
তোমার নয়ন পানে তাকালেই রক্ত লাল শাপলাটা দু’হাত মেলে জলে ভাসিয়ে দেয় বিনা সুতোর রুমাল
ও নয়ন যেনো ভ্রমরের গুঞ্জন শোনায়, ছড়ায় শিহরণ
শেষ বিকেলের বাঁকা সূর্যরষ্মি নরম পরশ বুলায় শাপলার পাপড়ি পটে
রোজ প্রতুষ্যে তোমার নয়ন জলে সাঁতার কাটতে থাকা অজস্র লাল-সাদা শাপলা সান্নিধ্যে ছুটে যাই
শাপলা – শালুক শাদা বক দেখি
দেখি শুভ্র শিশির কণা
দেখি পানকৌড়ির ফণা
শুধু অন্তরালে থেকে যাও তুমি, তোমার নয়ন তাঁরা।