উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় টাকা না দেয়ায় বিনা নোটিশে মাদ্রাসা কেরানির চাকরি ডিসমিস করে অন্য লোককে নিয়োগ, উপজেলার নাউলী গোপিনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসার উক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত আদেশ করেছে আদালত। মামলার আদেশ প্রদান করেছেন যশোরের অভয়নগর সহকারি জজ আদালতের বিচারক সুমনা পাল। তিনি উল্লেখ করেছেন, মামলার বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত অত্র নাউলি গোপীনাথপুর মিলোনি দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ।
জানা যায়, পদ শুন্য না করে জালিয়াতি করে সাবেক অফিস সহকারিকে অব্যহতি দেখিয়ে সাবেক সভাপতি ও সুপার সাবেক নিন্মমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর (শাহিন) এর পদ শুন্য দেখিয়ে মিন্টু বিশ্বাসকে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক অফিস সহকারি বাদি হয়ে বিজ্ঞ অভয়নগর সহকারি জজ আদালত, যশোরে দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অর্ডার- ৩৯, রুল-১/২ এর ১৫১ ধারার বিধান মতে মামলা করেছেন। মামলা নং ৪৬৪/২১ তারিখ ৩১-০৮-২১।
মামলা সূত্রে জানাগেছে এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিন মাদ্রাসার ১০ অক্টোবর ২০১১ তারিখে নিয়োগ সক্রান্ত বৈধ চিঠি পেয়ে ১৫ অক্টোবর২০১১ তারিখে উক্ত মাদ্রাসায় যোগদান করেন। সেই থেকে তিনি চাকরি করে আসছেন এবং সরকারি অংশের বেতন ভাতাদি নিয়মিত গ্রহন করে আসছিলেন। এমপিও ও বেতন সিট অনুয়ায়ী এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিনের বেতন চলতি বছরের(২০২১) মার্চ মাসেও এসেছে এবং তিনি মামলায় আরো উল্লেখ করেছেন, তাকে প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার চাকরি থেকে অব্যহতি চিঠি ইস্যু না করেই গোপনে করোনা মহামারির বন্ধের ভিতরে অব্যহতি প্রদান করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সে পদে অন্য এক জনকে নিয়োগ প্রদান করেছে।
এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিন জানালেন, ঢাকায় মায়ের চিকিৎসা শেষে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরদিন ৯ আগস্ট তিনি মাদ্রাসায় গেলে সুপার তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেননি। এরপর মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির কারণে সুপার তাকে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
অভয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, নাউলি গোপীনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার কোন কাগজ পত্র এখনো তিনি পাননি। তিনি আরো বলেন, তবে মাদ্রাসার সুপার আঃ রশিদ হুজুর মোবাইলে জানিয়েছেন নিয়োগের আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়। তবে তিনি স্বীকার করেছেন মাদ্রাসার সুপার কমিটির পক্ষ থেকে পুনরায় আপিল করেছেন।