অ্যায়ামে জাহিলিয়া অন্ধকারে যুগ যেখানে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত সেখানে নারী অধিকারের তো প্রশ্নই ওঠে না ।ক্রীতদাসপ্রথার রমরমা তখনও। জীবন্ত নারীদের কবর দেয়া নিত্যদিনের ঘটনা। শুধুমাত্র ভোগের পণ্য ছাড়া আর কিছুই মনে করা হতো না নারীদের ।শিশুকালে জীবন্ত কবরের হাত থেকে কোনোক্রমে বেঁচে গেলেও অভিশপ্ত জীবন পশুর মতো বেঁচে থাকা ।তেমনই একটি সময়ে অন্ধকার আরবে আলোর মশাল হয়ে জন্মগ্রহণ করেন আরব দুলাল রাখাল নবী মানবতা মানবতার মহান শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। মাথার পাগড়ী খুলে দিলেন নারীর পায়ের তলে। শাহাদত আঙ্গুলি উঁচু করে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন মায়ের (নারী)পায়ের নিচে জান্নাত ।ইসলাম নারীকে যে অধিকার দিয়েছে তা কোন কালে কোন মতবাদ দিতে পারবে না। সন্তান জন্ম দেয়া খ্রিস্টান ধর্মে অভিশাপ বলা হলেও ইসলাম দিয়েছে কবুল হজ্জের মর্যাদা আর কবুল হজ্জের বিনিময় হকবু হলো হজ্জের মাধ্যমে আল্লাহতালা বান্দাকে শিশুর মত নিষ্পাপ করেন ।
বিশ্বনবী বিশেষভাবে তাগিদ দিলেন কন্যা হিসেবে নারীদের মর্যাদা দিতে হবে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন কোন ব্যক্তির যদি কন্যা সন্তান থাকে আর তাকে জীবন্ত কবর না দিয়ে যদি মর্যাদা দেয় এবং পুত্র সন্তানের মতো তাকে ভালোবাসে ও সম্মান দেয় আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ।স্ত্রী হিসেবে নারীর মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম ।স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার দিয়েছে। নিজস্ব সম্পত্তিতে স্ত্রীকে স্বাধীনতা দিয়েছে। স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার দিয়েছে। মা হিসেবে নারীকে ইসলাম দিয়েছে এক অনন্য মর্যাদা রাসুল সাল্লালাহ সালাম বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত ।অপর হাদিসে জনৈক সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামকে প্রশ্ন করলেন তিনি কার খেদমত করবেন রাসুল সালাম উত্তর দিলেন তোমার মা এভাবে চতুর্থবার পর্যন্ত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম মা এর কথা বললেন এবং পঞ্চম বার বললেন পিতার কথা এ যেন এক অনন্য মর্যাদা। ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে বিবাহে তার মতামত প্রকাশের যেটা অনেক আধুনিক মতবাদও দিতে পারেনি। ইসলাম নারী শিক্ষার উপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন “প্রত্যেক নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ (বাধ্যতামূলক)”।