দেশের ছয় জেলার ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট আগামীকাল সোমবার। এই ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে। একসঙ্গে ২৩টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠাও কম নেই। সব জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছেন। তবে এই ভোটে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একেকটি ইউপিতে মনোনীত প্রার্থীর বাইরেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলের একাধিক বিদ্রোহী। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যে কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে ১৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এ নিয়ে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ব্যাপক আলোচনা। নির্বাচনের দুই দিন আগে বিদ্রোহী ১৭ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা নেতৃবৃন্দকে বলেছেন। বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের আরেক উপজেলা শরণখোলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রার্থীরা। সেখানে প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহিম আকন। প্রকাশ্যে ভোটদান, ভোটকেন্দ্রে না আসার হুমকি ও নেতা-কর্মীসহ পরিবারের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি অতিরিক্ত র্যাব মোতায়েনের আহ্বান জানান।
বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ও তালা উপজেলায়। জানা যায়, শুধু তালা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। জেলার নেতারা বলছেন, বিদ্রোহীদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাতটি ইউনিয়নে লড়াই করছেন ৩৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। যা নিয়ে দলীয় উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
বিদ্রোহীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে রয়েছে কক্সবাজার চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা এবং জেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন নিয়ে। নানাভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি ১১ প্রার্থীসহ ১৫ জনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাতেও বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে সরাতে যায়নি। চকরিয়া পৌরসভায় স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের ভাতিজা জিয়াবুল হক বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জিয়াবুল হক গত পৌরসভায় কাউন্সিলর ছিলেন।