সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনুকূলে ৭ কোটি টাকার ওষুধ ও সরঞ্জাম ক্রয় বিষয়ক দরপত্রের শিডিউল গ্রহণের একদিন পর বৃহস্পতিবার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
শিডিউল ক্রয়ে মারামারি, কাড়াকাড়ি, হাতাহাতি এবং কাগজপত্র ছেঁড়াছিঁড়ির ঘটনায় বিব্রত হয়ে এই দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ফের কার্যক্রম চালু হবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনুকূলে ওষুধপত্র, প্যাথলজিক্যাল সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ে ৭ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। বুধবার দরপত্র ক্রয়ের সর্বশেষ দিন ছিল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তা জমা দেওয়ার কথা ছিল। মোট ১৫টি দরপত্র এদিন ক্রয় করা হয়।
সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা জানান, এই দরপত্রের শিডিউল ক্রয় নিয়ে আগ্রহী ঠিকাদারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ লক্ষ্য করা গেছে। তারা হই-হুল্লোড় এমনকি হাতাহাতি করে কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন। এই বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে তারা কেউ কেউ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আশীর্বাদপুষ্ট বলে শিডিউল ক্রয়ের চেষ্টা করেছেন। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে বৃহস্পতিবার আমি এই দরপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ফের কার্যক্রম চালু হবে।
উল্লেখ্য, ৭ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল বুধবার দরপত্র ক্রয়ে বাধার সৃষ্টি করে। এই মহলটির পক্ষে পুলিশ ও কয়েকজন ভাড়াটিয়া অংশ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা দরপত্র কার্যক্রমকে জিম্মি করে ফেলে। এমনকি তাদের পছন্দের বাইরে কাউকে শিডিউল কিনতে বাধা দেওয়া হয়। আগ্রহী ঠিকাদাররা এই শিডিউল ক্রয় করতে না পেরে ফিরে যান।
বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরার কয়েকটি মিডিয়ায় রিপোর্ট ছাপা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আলোচনা চলে। এরই এক পর্যায়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা এ দরপত্র কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন।