শোনো হে মানুষ ভাই
তোমার ঘরে আমার আবাস আমি নিজে গড়ি নাই।
যেদিন তুমি পতিতার ঘরে নিয়েছিলে নিজে ঠাই
সেদিন তোমার পোশাকে জড়িয়ে এঘরে জায়গা পাই।
সেখানে আমার কত স্মৃতি গাঁথা কত কথা আছে জানা,
বলছি না কিছু, যদিও আমাকে কেউ তা করেনি মানা।
তোমার ঘরের কাহিনীটা শোনো, যেদিন এসেছি এখানে,
অশ্রু ঝরিছে তোমার বধুর,তা শুধু তোমার কারণে।
তুমি সুখে রাখো তুমি দুখে রাখো, তোমাকেই করে বিশ্বাস,
তোমাকে সে তার জীবন সপেছে, তুমি যেন তার নিঃস্বাস।
তোমার আশায় পথ চেয়ে থাকা, তোমাকে করতে সেবা,
তার মনে তুমি কতটুকু জুড়ে, প্রশ্ন করেছে কে বা?
তার মত করে বেসেছে কে ভালো, কে দিয়েছে মন প্রাণ?
এলে বাড়ি ফিরে তোমাকে দেখেই ধড়ে ফিরে পেত প্রাণ।
বিছানায় শুয়ে কত যে স্বপন দেখে তোমাকেই নিয়ে,
সব স্বপনের স্বাক্ষী আমি, দেখেছি এচোখ দিয়ে।
একদিন তুমি ঘরে এলে ফিরে নতুন বসনা নিয়ে,
তারে দেখে আমি অবাক হয়নি, ভেবেছি নতুন করেছো বিয়ে।
চাকরির লোভ দেখিয়ে মীনাকে, আনলে তোমার ঘরে,
করলে সে কাজ নিষ্ঠুরভাবে, যা করে কনে বরে।
প্রথম স্বাক্ষী আমিও সেদিন সইতে না পেরে মনে,
কামড় বসায়ে দিলাম তোমার, নরম কোমল কানে।
সেদিন হতে নিয়মিত তার তোমার ঘরে আসা,
কাটাতে সময় দুজনে মিলে, ছিলো শরীরের ভালোবাসা।
তোমার এ ঘরে আরো কত নারী এলো গেলো গোপনেতে,
সবারেই তুমি নষ্ট করলে, দেখেছি এ নয়নেতে।
তোমারে বলিতে পারি নাই কিছু, কষ্ট রয়েছে জমা,
অন্যায়কারী অপরাধী হয়েও, চাওনিতো কভু ক্ষমা।
অবহেলা আর আঘাত পেয়ে, এসেছে তোমার দ্বারে,
আশ্বাস তুমি দিয়েছিলে বটে, মনে ছিলো যেন মরে।
এক বুক আশা পাইতে ভরসা লুটালো তোমার পায়ে,
অসহায় মন নিস্ফল হলো, দিলে নুন তার ঘায়ে।