বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৭৭ সালে ২ অক্টোবর ১২০০ সামরিক কর্মকর্তাদের জিয়াউর রহমান হত্যা করেছিল, তা ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই সেনাদের পরিবাররা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর যে বিচার দাবি করছে, তা যৌক্তিক। অথচ সেদিন জিয়াউর রহমান জাপান এয়ারলাইন্স বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে সামরিক আদালতে ফাঁসি কার্যকর করেছিল, যা ছিল গণহত্যার সামিল।
রোববার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সেদিন জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই হয়েছিল। কিন্তু এটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথচ সেদিন জিয়াউর রহমান মিথ্যা মামলা দিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তাদেরকে সামরিক বিচার আদালতে তুলে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছিল, যা ছিল গণহত্যার সামিল। জিয়া তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই এই জঘন্য কাজটি করেছিলেন। এই ঘটনায় পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে যেই দাবি করা হয়েছে, তা যৌক্তিক। আমাদেরও সেই দাবির সঙ্গে একাত্মতা রয়েছে।
হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে রেকর্ড নেই বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় আসা। যারা এই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে, তারাই বলছে আওয়ামী লীগ এভাবে ক্ষমতায় থাকবে। অথচ এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির জিয়া এবং তার দল ক্ষমতায় এসেছিল। আজও সেইভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। ২০০৬ সালে বিএনপি দলের তাদের রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল কিন্তু জনতার রোষানলে তা করতে ব্যর্থ হয়।
এর পরে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাহবুবউল আলম হানিফ ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. দীপু মনি।
এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন।