শ্যামনগর প্রতিনিধি: মনিরা পারভীন নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থী গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার বেলা এগারটার দিকে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদের রডের সাথে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে। ১৪ বছর বয়সী মনিরা শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের জিএম আবু মুছার কন্যা। সে নাসিরাবাদ দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।
এদিকে পিতা ও সৎ মা পিটিয়ে হত্যার পর তার মেয়ের গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মনিরার মা কুমকুম বেগম। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুর পিতা জিএম আবু মুছা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে আটক করেছে।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, দ্বিতীয় স্ত্রী’র ইন্ধনে আবু মুছা রোববার সকালে মুনিরাকে ব্যাপক মারধর করে। বেলা দশটার দিকে আবু মুছা কর্মস্থল হেতালখালী মাদ্রাসায় যাওয়ার পর তার মুনিরা নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদের রডের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এসময় তার তার মাসহ সৎ মা বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিল। সূত্রটি আরও জানায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র আরও জানায়, নিহত মুনিরার মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
নিহত শিশুর মা কুমকুম বেগম অভিযোগ করে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সতীন নাসিমা ও তার স্বামী আবু মুছা রোববার সকালে মুনিরাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার মেয়ের মৃত্যু হলে তারা মুনিরার গলায় ওড়া পেঁচিয়ে ছাদের রডের সাথে ঝুলিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান মোবাইলে ফ্ল্যাক্সি লোড দিয়ে বাড়িতে ফিরে তিনি মেয়েকে মৃত অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেন। মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সতীন ও স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত তাদের আটক করা হয়েছে।