বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
মারিয়া রেসা ফিলিপাইন ভিত্তিক সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট রেপলারের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও দিমিত্রি মুরাতভ রাশিয়ার বিরোধীমতের প্রধান সংবাদমাধ্যম নোভায়ে গাজেটার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
গণতন্ত্র এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ ফিলিপিন্স এবং রাশিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহসী লড়াইয়ের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন।
পুরস্কারের অর্থ দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
মারিয়া রেসার জন্ম ১৯৬৩ সালের ২ অক্টোবর ফিলিপিন্সের ম্যানিলায়। আর দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ মুরাতভের জন্ম রাশিয়ায় সামারায় ১৯৬১ সালে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সভাপতি বেরিট রিস-এন্ডারসেন বলেন, রেসা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করে তাঁর জন্মভূমি ফিলিপিনে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টিকে প্রকাশ্যে এনেছেন।
রেসা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বার্থে ২০১২ সালে একটি ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
এদিকে দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ মুরাতভ নোভাজা গাজেটা নামক সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠাতা করেন রাশিয়ায়। নোবেল কমিটির মতে, আজ এই সংবাপত্রটি সেই দেশের সবচেয়ে স্বাধীন সংবাদপত্র।
কমিটি বলেছে যে মুরাতো কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় ‘ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে’ বাক স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছেন।
নোবেল কমিটি জানায়, স্বাধীন, এবং সত্য-ভিত্তিক সাংবাদিকতা ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা এবং যুদ্ধের প্রচার থেকে রক্ষা করার কাজ করে। কমিটির তরফে আরও বলা হয়েছে যে, গণতন্ত্র এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্যের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।
২০২০ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
সুইডিশ বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী ও মানবহিতৈষী আলফ্রেড নোবেল যে পাঁচটি পুরস্কারের প্রবর্তন করেছিলেন এটি তার একটি।
কিন্তু এর রাজনৈতিক প্রকৃতির কারণে বিভিন্ন সময়ে এ পদক অন্য পাঁচটি ক্যাটাগরির চেয়ে অনেক বেশি বিতর্ক তৈরি করেছে।