ইস্পাতের ন্যায় কঠিন গণঐক্য তৈরি করে এই সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০ দলীয় জোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতি আহ্বায়ক মহসিন সরকারের স্মরণে জাতীয় পার্টি এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের একটাই স্বার্থ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেটা করতে হলে এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকার এগুলো সব একই দাবি, এই এক দফা দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আরো বড় ধরনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করে এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, আজকে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে বললে সেখানে পরিষ্কার বোঝা যায় নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হবে না। অতএব এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ আগামী নির্বাচনে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, যেতে পারে না। এর সথেসাথে বলতে চাই সেই নির্বাচন ইনশাআল্লাহ করতেও দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে হঠাতে হবে। হঠাতে হলে একটি কঠিন আন্দোলনের সৃষ্টি করতে হবে। জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত, আপনারা কথা বলে দেখেন মানুষ এই সরকারের বিদায় চায়। এই সরকারের পরিবর্তন চায়। গনগণ আমাদেরকে বলছে আপনারা কি করছেন, আপনারা এই সরকারের বিদায়ের জন্য মাঠে নামেন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, যদি এই দেশকে বাঁচাতে হয়, যদি এই দেশের স্বার্থকে রক্ষা করতে হয়। যদি এদেশের জনগণের অধিকার ফিরে পেতে হয়, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে হয়, এই লুটেরা অর্থনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হয়, তাহলে এই সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। যদি সরকার হটে যায় তাহলে আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করা সম্ভব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যে জাতীয় সংকটে আমরা উপনীত হয়েছি তার থেকে মুক্ত হতে হলে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ যাদেরকে ভোট দেবে সেই প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে। জনগণের প্রতিনিধিরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, শাম্য, সামাজিক যে সামাজিক যে বৈষম্য এগুলো দূরীকরণ করা সম্ভব হবে সেই জনগণের সরকারের মাধ্যমে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারের হাত থেকে এদেশকে রক্ষা করে আমাদের সকলের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যে আমাদেরকে পৌঁছাতে হবে। সেজন্য একটি গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। এই গণআন্দোলনের জন্য বিএনপি, ২০ দল এবং তার বাইরে যারা গণতান্ত্রিক ব্যক্তি, গোষ্ঠী আছে তাদেরকে আজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হাওলাদারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।