আবু সাঈদ,সাতক্ষীরা: বিভিন্ন অপরাধ ঘটিত মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অসংখ্য দামিদামি মোটরসাইকেল পড়ে আছে সাতক্ষীরা সদর থানা প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নিচে। শুধু মোটরসাইকেল নয়, পাশেই রয়েছে জরাজীর্ণ মাইক্রো, প্রাইভেটকার, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবহনের স্তুপ। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে গেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকায় অধিকাংশ যানবাহন চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। এ যানবাহনগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধে জব্দকৃত মামলার আলামত। এছাড়া চোরাইকৃত যানবাহন ও কাগজপত্র বিহীন যানবাহন রয়েছে। এসব যানবাহন যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত। আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না এসব গাড়ি। অন্যদিকে আইনি জটিলতার কারণে নিলাম না হওয়ায় কমছে এর বাজার (নিলাম) দর, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জব্দকৃত যানবাহন। দুই চাকার মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে ভটভটি, ট্রাক এবং ইজিবাইকও আছে এখানে। কিন্ত সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে এসব আলামত (যানবাহন) খোলা স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। থানার কর্মকর্তাদের দাবি, জব্দকৃত যানবাহন রাখার জন্য আলাদা স্থানে নির্দিষ্ট গ্যারেজ করে দেওয়ার। এতে করে সুরক্ষিত থাকবে বাহন, সরকারের কোষাগারেও জমা হবে পর্যাপ্ত রাজস্ব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা থানায় জব্দকৃত এসব যানবাহনগুলো একই স্থানে পড়ে আছে বছরের পর বছর। ৮-১০ বছর আগে আটক করা গাড়িও আছে এখানে। যার অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলোর ভেতরে-বাইরে ধূলা-ময়লা জমে যন্ত্রাংশ ক্ষয়ে গেছে-খসে পড়ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: দেলোয়ার হুসেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। কাগজ-পত্র না থাকায় সঠিক মালিকের কাছেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন বলে তিনিও মনে করেন। কিন্তু জায়গা সংকুলানের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দৈনিক অথবা মাসে যে পরিমাণ গাড়ি আমাদের এখানে জমা হচ্ছে, সে অনুসারে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আইনি জটিলতার ফলে জব্দ হওয়া বাহনের সংখ্যা বাড়ছে। অল্প জায়গায় অধিক যানবাহন রাখার কারণে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে এগুলোকে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ বলেন, এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দ্রুততার সাথে এসব মামলা নিষ্পত্তি করলেই আমাদের সম্পদগুলো রক্ষা পাবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।#######
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …