কুমিল্লার ঘটনায় হামলার উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া পূর্বপাড়া (আমিনপাড়া) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ গণমাধ্যমকে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিআইডি জানায়, কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় দেশের একজন ইসলামি বক্তা মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় উসকানিমূলকভাবে বলেন, ‘মূর্তির পায়ে যারা পবিত্র কুরআন শরিফ রেখেছে তাদেরকে ১৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রেফতার না করলে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মসজিদ থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং বাংলাদেশে একটি পূজামণ্ডপও রাখব না।’
এছাড়াও তিনি কুমিল্লার পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে নিহতের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী এবং দোষী করে অপমানজনক, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা এবং উগ্র বক্তব্য প্রচার করে বলে সিআইডি জানায়।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, এই বক্তব্য বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেন ও জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে থাকে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ফলে অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং সেলের নজরে এলে তারা দ্রুত সেই আব্দুর রহিম বিপ্লবীকে শনাক্ত করে।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম তালুকদারের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক মোসাম্মৎ শাজেনা লতার নেতৃতে সাইবার মনিটরিং সেলের একটি টিম মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবীকে গ্রেফতার করে। আব্দুল রহিমের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূজামণ্ডপ সম্পর্কিত উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কথা আব্দুর রহিম স্বীকার করেছেন। তার এই বক্তব্য সিআইডি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।