বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গত বছর তা নতুন রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৬) আগে সোমবার এ সতর্কবার্তা দিল সংস্থাটি। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) গ্রিন হাউস গ্যাস বুলেটিন জানিয়েছে, গত বছর গ্যাস বৃদ্ধির হারে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল নাগাদ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের বার্ষিক গড় বেড়েই চলেছে এবং এ ধারা ২০২১ সালেও অব্যাহত রয়েছে।
ডব্লিউএমও বলেছে, কভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে নতুন নির্গমন সাময়িক কমেছে। কিন্তু গ্রিন হাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলের স্তর এবং তাদের বৃদ্ধির হারের ওপর এর কোনো স্পষ্ট প্রভাব পড়েনি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যতদিন নির্গমন অব্যাহত থাকবে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ততদিন অব্যাহত থাকবে এবং অধিক মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতির মধ্যেও এমনটা হতে থাকবে। এমনকি যদি নির্গমন দ্রুত শূন্যে কমে যায় তবুও তা ব্যাহত থাকতে পারে। কারণ গত কয়েক দশক ধরে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন বেড়েই চলেছে। গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কপ২৬ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন।
ডব্লিউএমওর প্রধান পেটেরি তালাস বলেন, গ্রিন হাউস গ্যাস বুলেটিনে কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের আলোচকদের জন্য একটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক বার্তা রয়েছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের ঘনত্বের বৃদ্ধির বর্তমান এ হার অব্যাহত থাকলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ আমরা তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে দেখব যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১.৫ থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে হতে পারে। আমরা আমাদের ট্র্যাক থেকে অনেক দূরে রয়েছি বলেন তিনি। তিনটি প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস হলো- কার্বন ডাই-অপাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড। এর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের ক্রিয়াকলাপ দ্বারা নির্গত কার্বন ডাই-অপাইডের প্রায় অর্ধেক বায়ুমণ্ডলে থাকে, বাকি অর্ধেক সাগর এবং মাটিতে শেষ হয়। ক্রমবর্ধমান গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের সঙ্গে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে ডব্লিউএমও জানায়।