উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় প্রেমিকের এসিডে ঝলসে মারা গেছে প্রেমিকা কেয়া (৩০)। তারা উভয়ই এসএএফ চামড়ার মিলের শ্রমিক। ২৫ অক্টোবর ২০২১ সোমবার দুপুরে নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য চামড়া মিল এস এ এফ এ কর্মরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কেয়া অভয়নগর উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত- আবুল কালামের মেয়ে। প্রেমিক শামিম (৩৫) যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার সীমান্তবর্তী শেষ সীমানা নামক এলাকার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তারা উভয়ে ওই মিলের শ্রমিক বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এবং একই মিলে কর্মরত থাকায় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কেয়া বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় শামীম তাকে গায়ে এসিড ঢেলে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রথমিকভাবে ধারনা করেছে পুলিশ।
নিহত কেয়ার প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, কেয়া স্বামী পরিত্যাক্তা। তার ১২/১৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী পরিত্যাক্তা কেয়া ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এসএএফ চামড়ার মিলে শ্রমিকের কাজ করে আসছে। একই মিলে শ্রমিকের কাজ করে শেষ সীমানা এলাকার শামিম। শেষ সীমানা এলাকায় কেয়ার বড় বোনের শ্বশুর বাড়ি। সেই সুবাদে ঘনিষ্টতা হয় শামীমেম সাথে। ঘনিষ্টতা এক সময় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। সম্প্রতি কেয়া শামীমকে বিয়ের জন্য পিড়াপীড়ি করতে শুরু করে। কেয়ার প্রতিবেশীরা দাবি করেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শামীম কেয়াকে মিলে কর্মরত অবস্থায় সারা শরীরে এসিড ছুড়ে ঝলসে দেয়। কেয়া এসিডে ঝলসে ছটফট করতে থাকলে রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মিলে কর্মরত অন্যান্যরা ছুটে এসে শামীমকে পুলিশে সোপর্দ করে এবং আহত কেয়াকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে কেয়া মারা যায়।
এ ব্যাপারে কেয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ কেএম শামীম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত শামীমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদ চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।