সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশনের আওতাধীন চুনকুড়ি নদীর রাজাখালি খাল এলাকা থেকে মৃত বাঘিনী উদ্ধারের ঘটনায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পরিণত বয়সের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে এমন ধারণার কথা বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হলেও অনেকে বলছেন শিকারীদের হরিণ ধরা ফাঁদে বাঘিনীর মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে মৃত বাঘিনী উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করতে তার নমুনা সংগ্রহে ভেটেনারী একজন সার্জনকে নিয়ে সকালে রওয়ানা হয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুন্দরবন এলাকার স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক দৈনিক পত্রদূতকে জানান, বাঘিনীর মৃত্যুর ঘটনা জানাজানির পর থেকে বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনেকেই রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছেন। তাদের অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া স্থানীয় এসিএফ মোবাইল রিসিভ না করায় প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হচ্ছে না। তারা আরো জানান, স্থানীয় চোরা শিকারীদের পাতা হরিণ ধরা ফাঁদে বাঘিনীটি আটকা পড়ে মারা যেতে পারে। যেকারণে লুকোচুরির ঘটনা ঘটছে।
খুলনা বিভাগী বনকর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন জানান, স্থানীয় জেলেদের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌছায় কদমতলা স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। আমিও সেখানে যাই। মৃত বাঘিনীটিকে উদ্ধার করি। বর্তমানে স্থানীয় বনরক্ষীদের তত্বাবধানে রাখা হয়েছে। বাঘিনীটি অর্ধ-গলিত অবস্থায় তার শিকার করা দাত দুটো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিণত বয়সের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে একটি জিডি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।