কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় চলন্ত বাস থেকে নামিয়ে এক চেকারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম রায়হান উদ্দিন ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট-কুমিল্লা মহাসড়কের বুড়িচংয়ের ময়নামতি ইউনিয়ন শরীফপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার সকাল থেকে পরিবহণ শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করছে বলে জানা গেছে।
নিহত রায়হান দেবিদ্বার উপজেলার ফুলতুলি গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে এ ঘটনায় অপরাধীকে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে আগামী শনিবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পরিবহণ বাস মালিক শ্রমিকরা।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ঢাকার পরিবহণ মালিক জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ময়নামতি শরীফপুর পয়েন্ট কুমিল্লা জেলা শহরের কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে তিশা বাস থেকে নামিয়ে কয়েকজন শ্রমিক ও সন্ত্রাসীরা চেকার রায়হানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে তার স্ত্রী স্বামীকে (রায়হান) রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত রায়হান স্ত্রী পারভীন আক্তার কয়েকজনকে আসামি করে বুধবার বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত রায়হানের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গাড়ির ডিউটি করছেন। ঢাকার একজন গাড়ির মালিকের সঙ্গে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল আমার স্বামী। এর জের ধরে তাকে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি ইউনিয়ন শরিফ পয়েন্টে বাস থেকে জোর করে নামায় সন্ত্রাসীরা।
এর পর লাথি ঘুষি ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমার স্বামী মারা যান। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমি আসামিকে চিহ্নিত করি, তারা মাদকাসক্ত ছিল তাদের বাড়ি বুড়িচং থানা এলাকায়।
বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করব ইনশাআল্লাহ। অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।